প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে কোরবানীর পশুর জন্য ১২ হাট, চাহিদা ১২ হাজার প্রাণী

editor
প্রকাশিত মে ১১, ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে কোরবানীর পশুর জন্য ১২ হাট, চাহিদা ১২ হাজার প্রাণী

Manual3 Ad Code

 

স্টাফ রিপোর্টার:

Manual4 Ad Code

 

বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ পুরো উপজেলায় এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ১২টি পশুর হাট বসার কথা রয়েছে। তবে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো নিয়ে এখনো পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যদিও স্থায়ী পশুর হাটকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে।

Manual5 Ad Code

 

চাঁদ দেখা সাপেক্ষ ৭ জুন বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। সেই হিসেবে বলা যায় দরজায় কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। মাঝখানে বাকি নেই এক মাসও। প্রস্তুতি শুরু করেছেন ব্যাপারীরাও। গৃহস্থ ও খামার থেকে গরু সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

 

এদিকে সরকারি হিসেবে, বিয়ানীবাজারে এবার কোরবানী যোগ্য পশুর সংখ্যা বেশী। কোরবানীর জন্য উপজেলায় পশুর কোন সংকট নেই বলে জানা গেছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মবিন হাই জানান, উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৬৬টি কোরবানী যোগ্য পশু রয়েছে। এখানে ১০ হাজার ৬শ’ পশুর চাহিদা আছে বলে জানান তিনি। আগামী কোরবানি ঈদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল থাকে। পশু যাতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিয়ে খামারিদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।

 

অপরদিকে ঈদুল আযহার অবশিষ্ট কয়েকদিন থাকলেও আগে থেকে পশুগুলো স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে তুলতে শুরু করেছেন পশু মালিক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

 

জানা যায়, উপজেলার স্থায়ী ছয়টি হাটের সাথে আরো ছয়টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হতে পারে। বিয়ানীবাজার পৌরসভার পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও ছোটদেশ বাগন ওয়াব আলীর দোকানের সম্মুখসহ আরোও কয়েকটি জায়গায় অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দিতে পারে। এছাড়া রামধা, দুবাগ, বৈরাগীবাজার, মাথিউরা বাজার, বারইগ্রাম ও আছিরখাল বাজারে স্থায়ী হাট চলবে।

Manual2 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

বিগত কয়েক বছর ধরে হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর তেমন দেখা মেলে না। কিছু সাদা বলদ গরু দেখা যায় যা সংখ্যায় খুবই কম। সীমান্ত কড়াকড়ি থাকলেও ঈদুল আজহাকে সামনে কিছু ভারতীয় গরু প্রতিবারই অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করে। এবার পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তেও। প্রায় প্রতিটি সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফ কড়া পাহারা দিচ্ছে। ফলে যারা চোরাই পথে গরু আনেন তারা ভয়ে সীমান্তে যেতে পারছে না। তারপরও গবাদি পশুর সংকট ও উচ্চমূল্যের আশঙ্কা নেই বলে দাবি ব্যাপারীদের।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, অস্থায়ী হাট বসানোর দাপ্তরিক প্রক্রিয়া চলছে। স্থায়ী ও অনুমোদিত অস্থায়ী হাট ছাড়া, রাস্তা, বিভিন্ন সড়কের মোড়, গ্রাম্যহাটে পশুর হাট বসালে জড়িতেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code