ছবিতে যুবলীগ ক্যাডার সুলতান আহমদ টিপু/
স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারে ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক নেতাকে যুবলীগ ক্যাডার এবং তার সহযোগিদের মারধরের ঘটনায় উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনার বিচার দাবী করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় শিবিরের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে পূর্ব মুড়িয়া এলাকার বড়উধা গ্রামের মসজিদ থেকে বের হন ইসলামী ছাত্র শিবিরের আঞ্চলিক সেক্রেটারী আদিল হোসেন শাওন। এ সময় তাকে পেয়ে লাঞ্চিত করেন স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার সুলতান আহমদ টিপু (৩৬)। তাৎক্ষনিক বড়উধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন শিবির নেতাকে রক্ষার জন্য নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে গিয়েও দলবলে হামলা করেন যুবলীগ ক্যাডার টিপু ও তার সহযোগীরা। তখন এলাকাবাসী প্রতিরোধ শুরু করলে পালিয়ে যান টিপু গং। এ ঘটনায় আবিদ হোসেন শাওন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামী গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান।
এদিকে যুবলীগ ক্যাডারের এমন ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী ছাত্র শিবির। তারা অবিলম্বে টিপুসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়েছে। উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, টিপুসহ যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের দ্রæত গ্রেফতার করতে হবে।
এলাকাবাসী জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী যুবলীগ ক্যাডার টিপুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এরপরও সে বীরদর্পে এলাকায় ঘুরে বেড়ায়। পতিত আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে পূর্ব মুড়িয়া এলাকার অন্তত: ৬টি গ্রামে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করে সে। হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত প্রহসনের সকল নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো থাকতো তার দখলে। অনেকটা প্রকাশ্যে সিল মারতো সে। তাছাড়া বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করা ছিল তার অভ্যাস। সর্বশেষ ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে টিপু। সে নিজেকে টিপু সুলতান বলে পরিচয় দিত।
Sharing is caring!