প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে ২৫দিনে ১০মোটর সাইকেল চুরি: ধরাছোঁয়ার বাইরে চোর সিন্ডিকেট

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪, ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে ২৫দিনে ১০মোটর সাইকেল চুরি: ধরাছোঁয়ার বাইরে চোর সিন্ডিকেট

Manual2 Ad Code

বিগত দিনে থানা পুলিশের অভিযানে ২ চোরসহ উদ্ধারকৃত মোটর সাইকেল-আগামী প্রজন্ম/

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

বিয়ানীবাজারে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠা মোটরসাইকেল চোরের সিন্ডিকেট ধরতে পারছে না আইনশৃংখলা বাহিনী। তাদের ব্যবহৃত প্রযুক্তির ব্যবহার কমে যাওয়ায় হঠাৎ উপজেলায় মোটর সাইকেল চুরি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের ২৫দিনে ১০টি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশের রেকর্ড অনুযায়ী এত বেশী মোটর সাইকেল চুরি হয়নি বলে জানান স্থানীয় দায়িত্বশীলরা।

সম্প্রতি চুরি হওয়া মোটর সাইকেলগুলোর মধ্যে একটিও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। কয়েকটি মোটর সাইকেল চুরির দৃশ্য ভাইরাল হলেও সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চোর চক্রের এ সদস্যরা মোটরসাইকেল এর মাস্টার কী’র (চাবি) মাধ্যমে অভিনব কায়দায় মাত্র ৩/৪ সেকেন্ডের মধ্যেই সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত থাকে তিনজন। প্রথম ব্যক্তি চুরি করে, দ্বিতীয় ব্যক্তি চালককে অনুসরণ করে ও তৃতীয় ব্যক্তি আশপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন। চুরির পর সেই মোটরসাইকেল দ্রুত পার্শ্ববর্তী কোনো গ্যারেজে রাখেন প্রথম ব্যক্তি। এরপর সুযোগ বুঝে অন্য দু’জন সন্ধ্যার পর বা ভোর রাতে অন্যত্র নিয়ে যান। পরে আরেকটি চক্রের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের চেচিস ও ইঞ্জিন নাম্বার পরিবর্তন করে বিআরটিএর জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করে দেয়।

Manual4 Ad Code

 

Manual1 Ad Code

জানা যায়, অনেক ভুক্তভোগী এসব নিয়ে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হতে চাননা। কারো কাগজে সমস্যা, কারো কাগজ নেই কিংবা কেউ বাড়তি হয়রানির ভয়ে মামলা করেনননা। আবার কারো অভিযোগ, মোটর সাইকেল চুরির মামলা না নিয়ে পুলিশ হারানো জিডি কিংবা অভিযোগ লিখিত আকারে নেয়। ফলে মোটরসাইকেল চুরির সঠিক তথ্য থানা পুলিশের রেকর্ডেও থাকে না।

 

বিয়ানীবাজারের বেশির ভাগ মোটরসাইকেল চুরি হয় প্রকাশ্য দিনদুপুরে, বিভিন্ন মসজিদ, অফিস, মার্কেট ও ব্যাংক চত্বর থেকে। বিগত দিনে পৌরশহরের অধিকাংশ এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও এখন সেগুলো নষ্ট। উপজেলায় মোটরসাইকেল চুরির কয়েকটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে। যাদের তালিকাও আছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে। এখানে চোরাই মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেশী। দুই-আড়াই লাখ টাকার মোটরসাইকেল ৬০-৭০ হাজার টাকায় কেনাবেচা হয়। মোটরসাইকেল কিনে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উঠতি বয়সী কিশোররা।

মঙ্গলবার পৌরশহরের ব্যবসায়ী শানু মিয়া, এর আগে ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদ হোসেনের ডিসকাভর ১৫০ সিসি, ক্রিকেটার রাজেল আহমদ, ব্যবসায়ী আবুল হোসেন খসরু, জামায়াত নেতা আব্দুল হামিদ, কোনাগ্রামের লিটন, চারখাইয়ের রকিবুল হাসান, লিয়াকত হোসেনসহ বহু ভেক্তভোগীর মোটর সাইকেল চুরি হয়।

Manual3 Ad Code

 

Manual4 Ad Code

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছমেদ আলী বলেন, ‘মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা অবগত হওয়ার পর উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। তবে স্থানীয় ভূক্তভোগীদের অনেকের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তারা পুলিশের কাছে আসতে চায়না। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল চুরি ঠেকাতে থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম কাজ শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে মোটরসাইকেল চুরি কমে যাবে। সেই সঙ্গে চোরের সিন্ডিকেটও ধরা পড়বে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code