প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের কেজি সাড়ে তিন টাকা

editor
প্রকাশিত মে ১৮, ২০২৫, ০২:০৩ অপরাহ্ণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের কেজি সাড়ে তিন টাকা

Manual1 Ad Code

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে আমের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং অনেক আম ঝড়ে পড়ে গেছে। আর এই অপরিপক্ব আম মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার টাকায় বিক্রি করছেন আম চাষি ও স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে সামান্য কিছু টাকা পেলেও দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে আমচাষিদের।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৬ মে) ও শনিবার রাতের ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার পাঁচ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোমস্তাপুর উপজেলায়। ঝড়ে ঝরে পড়েছে ফজলি, গোপালভোগ, আশ্বিনা, খিরসাপাতি, গুটিসহ বিভিন্ন জাতের অপরিপক্ব আম। এসব আম বাধ্য হয়েই সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে আচারের আম হিসেবে বিক্রি করছেন চাষিরা। তবে কেউ কেউ বাগান থেকে কুড়িয়ে নিয়ে এসেও পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন।

আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেন, গত দুই দিন জেলায় ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় গাছ থেকে অনেক অপরিপক্ব আম ঝরে পড়েছে। এসব আম গ্রামের মানুষজন কুড়িয়ে সাড়ে তিন থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। আমের জাতভেদে একেক রকম দামে বিক্রি হয়েছে এসব আম। তবে এই আম কয়েকদিন পরেই ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যেত।

 

Manual4 Ad Code

আমচাষি তামিম বলেন, শুক্রবার রাতে হঠাৎ ব্যাপক বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হয়। এতে অনেক আম গাছ থেকে পড়ে নষ্ট হয়। এসব আম গ্রামের অনেকেই কুড়িয়ে সাড়ে তিনি থেকে চার টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছে।

Manual1 Ad Code

 

Manual8 Ad Code

পাইকারি ব্যবসায়ী সেলিম রেজা বলেন, ঝড়ে পড়া আম তেমন কাজে লাগে না। তা ছাড়া আমগুলো পরিপক্ব নয়। তাই আচার করেন অনেকেই। তবে অনেক বেশি আম হওয়ার কারণে বাধ্য হয়েই বিক্রি করতে হয়।

আরেক ব্যবসায়ী মাসুদ হাসান বলেন, ঝড়ে পড়া আমে দাগ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই বেশির ভাগ সময় আম পরিপক্ব থাকলে তা স্থানীয় জুস ফ্যাক্টরিতে চলে যায়। তবে এখন আম অপরিপক্ব হওয়ায় জুসের পাল্প করা যাবে না। তাই কম দামে কিনে ট্রাকে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দিই।

Manual4 Ad Code

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. ইয়াছিন আলী বলেন, গত দুই দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। তবে গোমস্তাপুরে ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ঝড়ে আম ও লিচুর অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক অপরিপক্ব আম গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। এসব আম তেমন কোনো কাজে না আসায় কম দামে বিক্রি হয়।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code