প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

শিশুর সঙ্গে ‘দানবীয়’ গরুর বন্ধুত্ব

editor
প্রকাশিত মে ২৮, ২০২৫, ০১:৩৬ অপরাহ্ণ
শিশুর সঙ্গে ‘দানবীয়’ গরুর বন্ধুত্ব

Manual5 Ad Code

 

Manual3 Ad Code

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

 

রশি হাতে নিয়ে হাঁটছে তিন বছর বয়সী শিশু সুলাইমান। তার ঠিক পেছনে হাঁটছে বিশাল আকৃতির ‘দানবীয়’ এক গরু। সে কখনো গরুর পিঠে চড়ে, আবার কখনো মাথা চেপে ধরে আদর করে। শিশুটির ডর-ভয়ের জায়গায় দৃঢ়তা আর দখলদারিত্ব দেখে চমকে যায় গ্রামের মানুষ।

 

Manual8 Ad Code

এমন চিত্র দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার নরসিংসার ইউনিয়নের পয়াগ গ্রামে। শিশু সুলাইমানের সঙ্গী এই বিশাল ষাঁড়টি নেপালি গির জাতের।

Manual3 Ad Code

সুলাইমানের বাবা মোহাম্মদ আলী একজন অভিজ্ঞ খামারি। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তিনি কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণ করছেন। তার খামারে এখন রয়েছে বাংলার বস, টাইগার ও নেপালি গির—এই তিন ‘দানবীয়’ গরু। এর মধ্যে বাংলার বসের ওজন ১ হাজার কেজির অধিক, টাইগারেরও কাছাকাছি, আর নেপালি গির ষাঁড়টির ওজন ৭২০ কেজি।

 

সম্প্রতি বিক্রি হয়ে যাওয়া ‘রাজাবাবু’ নামের ১২০০ কেজির মহিষ ছিল এই খামারের অন্যতম আকর্ষণ। এখন গ্রামের আকর্ষণের কেন্দ্রে শিশু সুলাইমান ও তার খেলার সঙ্গী গরুটির।

খামারের কর্মচারী মো. সুমন মিয়া বলেন, বড় গরু বলেই ওদের দেখাশোনায় সময় ও যত্ন বেশি দিতে হয়। দিনে চারবার গোসল, তিনবার খাওয়ানো—ঘাস, ভুসি, বন, ছোকলা, সাইলেজ দিয়ে খাবার দেওয়া হয়। তিনি বলেন, খামারে ছিল ৫৩টি পশু, যার মধ্যে ৮টি বিক্রি হয়ে গেছে, বাকি গরুগুলোও বিক্রির জন্য প্রস্তুত।

মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার গরুগুলো খুবই শান্তস্বভাবের। প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। কোনো ইনজেকশন, স্টেরয়েড ব্যবহার করিনি। বাংলার বসের দাম ১০ লাখ, টাইগার ৯ লাখ, আর নেপালি গির ষাঁড়টির দাম ধরা হয়েছে ৮ লাখ টাকা।

 

গরুগুলোর সৌন্দর্য ও শান্ত আচরণে মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিনই জেলা ও জেলার বাইরের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে।

Manual2 Ad Code

সবচেয়ে বিস্ময়কর দৃশ্য তৈরি করে ছোট্ট সুলাইমান। গরুর সামনে তার উচ্চতা নেই বললেই চলে। তবুও সে গরুর পিঠে চড়ে, রশি ধরে টেনে হাঁটায়, কখনো মাথা চেপে ধরে আদর করে। আর আশ্চর্যজনকভাবে গরুটিও থাকে পুরোপুরি অনুগত। গ্রামের লোকজন বলছেন, এমন দৃশ্য আগে কখনো দেখিনি।

গ্রামের প্রবীণ হোসেন মিয়া বলেন, মোহাম্মদ আলী একজন সৎ ও ভালো মানুষ। তার খামারের গরুগুলো যেমন বড়, তেমনি শান্ত। আমাদের গ্রামের একটা গর্ব যেন এই খামার।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code