প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ভোটার লাইনে প্রচারণায় প্রার্থীরা, ভোটারদের ভোগান্তি

editor
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ০৬:০০ পূর্বাহ্ণ
ভোটার লাইনে প্রচারণায় প্রার্থীরা, ভোটারদের ভোগান্তি

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত বুথে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পরও কিছু প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রের সামনে প্রার্থীরা দাঁড়িয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। এতে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে, ফলে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সরজমিনে কেন্দ্রগুলোতে এই চিত্র দেখা গেছে।

Manual8 Ad Code

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র, কার্জন হল, উদয়ন স্কুলসহ অন্যান্য কেন্দ্রের সামনে ভিড় করছেন প্রার্থীরা৷ তারা প্রার্থীদের হাতে লিফলেট দিয়ে দিচ্ছেন এব নিজ দলীয় প্রার্থীদের তালিকা তুলে দিচ্ছেন। এতে কেন্দ্রগুলোর প্রবেশমুখে ভিড় জমা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সহজে প্রবেশ করতে পারছেন না৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না৷ তাছাড়া, ৭ সেপ্টেম্বর থেকেই সকল ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন।

কার্জন হল এলাকায় ছাত্রদল-সমর্থিত ফজলুল হক মুসলিম হল ইউনিটের নেতাকর্মীদের লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাইতে দেখা যায়। একইভাবে সিনেট ভবন কেন্দ্রের সামনেও কয়েকজন প্রার্থী ভোটারদের কার্ড ও লিফলেট ধরিয়ে দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি দেখে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কেন্দ্রের একশ মিটারের মধ্যে প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন না। নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Manual4 Ad Code

ডাকসুর মানবসেবা সম্পাদক এ বি জোবায়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশমুখে অভিযোগ জানাতে এসে বলেন, ছাত্রদল এখানে কৃত্রিম জটলা তৈরি করে ডাকসুর ফুল প্যানেলের লিস্ট ধরিয়ে দিচ্ছে৷ এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হওয়ায় আমি এটার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমার সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ায়৷

তাছাড়া, পর্যবেক্ষক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সামিনা লুৎফাও শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সামনের পরিস্থিতি দেখে এর প্রতিবাদ জানান।

Manual2 Ad Code

জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফারুক শাহ বলেন, আমরা প্রার্থীদের সরিয়ে দিচ্ছি। জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। আর এমন জটলা হবে না।

Manual7 Ad Code

এদিকে, দিনের শুরু থেকেই ভোটকেন্দ্রে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েক মাস ধরে প্রচার-প্রচারণার কারণে ক্যাম্পাসজুড়ে যে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, ভোটের দিনও তারই ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা গেছে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code