স্টাফ রিপোর্টার:
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনতে বাংলাদেশ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে। ভারত রাজি না হলে করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এইটুকুই। সম্ভাব্য তৃতীয় দেশে শেখ হাসিনার পুনর্বাসন সংক্রান্ত খবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুনেছি আপনারা যে রকম শুনেছেন। এটার বিষয়ে বাংলাদেশের কিছু করার নাই। আমরা চাই উনি ফেরত আসুক।’
‘ডিজিএফআই-র্যাব বিলুপ্ত করতে বললেই তো হবে না’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় ৪০টি সুপারিশ দিয়েছিল। সেখানে র্যাব-ডিজিএফআই বিলুপ্ত করার কথা বলা হয়েছিল। সেই সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকার আমলে নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিজিএফআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর প্রতিটি দেশে আছে। এটা তারা বললেই তো হবে না। ৪০টি সুপারিশ দিয়েছে তারা, যেগুলো আমাদের এবং আমাদের পরের সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হবে, সেগুলো করবে তারা।’ তিনি বলেন, সবই যে করা যাবে, এমন কোনো কথা নেই।
র্যাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাদের কাজের বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। র্যাব তো প্রাথমিকভাবে অত্যন্ত ফলপ্রসূ একটা প্রতিষ্ঠান ছিল, সেটাকে অনেক প্রতিষ্ঠানের মতোই গত ১৫ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে। যে কাজ তাদের দিয়ে করানো হয়েছে এটা তো তাদের কাজ না। এখন আমরা চাই, তারা যদি কাজ করে দেশের স্বার্থে, তাহলে তো আমার প্রতিষ্ঠান নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।’
নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার কোনো সম্ভাবনা আছে বলে আমার মনে হয় না। র্যাবের কাজে স্পষ্টতই অনেক ইমপ্রুভমেন্ট হয়েছে, এটা সবাই স্বীকার করে। বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার কোনো অভাব নেই—কারও যেন মানবাধিকার এভাবে লঙ্ঘিত না হয়, যেন ভুল না হয়, সেখানে আমাদের শতভাগ প্রতিশ্রুতি আছে।’
Sharing is caring!