স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারসহ দুটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে আরও বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন—মো. কাশেম ফারুক, মো. সাইদুর রহমান, রাকিব হোসেন, মো. নাইম, ফয়সাল আহমেদ প্রান্ত, মো. সোহেল রানা এবং মো. শফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ও গোয়েন্দা পুলিশ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে; তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট বাহিনী রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে ৩১ জনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনারের বাসভবনের কাছে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার ঘটনায় তিনজনকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে কাশেম ফারুক বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমানে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা। মো. সাইদুর রহমান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
শেরপুরের বাসিন্দা রাকিব হোসেনকে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করা হয়েছে। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি থেকে ঘটনাস্থলের ধ্বংসস্তূপের ছবি পোস্ট করা হয় এবং উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে।
ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. নাইমকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে এ ঘটনায় লুট হওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম স্বীকার করেছেন, তিনি মোট ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট করেছিলেন। ওই টাকা দিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কেনেন, যা ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
কারওয়ান বাজার রেললাইন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে ঢাকার একাধিক থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে। একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অতীতে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!