প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো হামাস

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ণ
ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো হামাস

Manual5 Ad Code

নিউজ ডেস্ক :
দীর্ঘ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গোষ্ঠীটি বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় কোনো নিরাপত্তা শূন্যতা সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না, এবং জননিরাপত্তা ও সম্পত্তির সুরক্ষায় তারা অঙ্গীকারবদ্ধ।

Manual3 Ad Code

রয়টার্স জানায়, গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছে। এসময় ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে হামাস। যাদের বিরুদ্ধে হামাসের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা ও বিদেশি শক্তির সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।

Manual2 Ad Code

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যুদ্ধবিরতির পর হামাস এখন ধীরে ধীরে তাদের প্রশাসন ও নিরাপত্তা কাঠামো পুনর্গঠন করছে। গাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কিছু বিভ্রান্তি ও সহিংসতা দেখা দেওয়ায় হামাস জননিরাপত্তা বজায় রাখতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

রাফাহ অঞ্চলে হামাসবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধেও অভিযান চলছে। গোষ্ঠীটির দাবি, এসব ব্যক্তি ইসরাইলের হয়ে কাজ করছে এবং গাজায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। হামাস বলছে, যুদ্ধবিরতির সুযোগে তারা গাজার অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে চায়।

হামাস সরকারের মিডিয়া অফিসের প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, ‘আমরা গাজায় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জনগণ যেন নিরাপদে থাকতে পারে- সেই দায়িত্ব হামাস সরকারের।’

Manual1 Ad Code

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যদি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়, হামাস তার অস্ত্র সেই রাষ্ট্রের হাতে সমর্পণ করতে প্রস্তুত। তবে গাজার শাসন কাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফিলিস্তিনিদের মধ্যেই, কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ ছাড়া।

Manual2 Ad Code

বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো গাজায় পুনরায় প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, যাতে আগামীর যেকোনো চুক্তি বা রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় গাজার জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code