প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’ আহ্বান জানিয়ে ‘বিরল’ ফতোয়া জারি

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ৬, ২০২৫, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ
ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’ আহ্বান জানিয়ে ‘বিরল’ ফতোয়া জারি

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বিশ্বের সব মুসলিম ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ করার আহ্বান জানিয়ে একটি বিরল ‘ফতোয়া’ জারি করেছেন বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট মুসলিম আলেম।
অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের ওপর ১৭ মাস ধরে চলা নৃশংস ও নির্বিচার ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার তারা এ ফতোয়া জারি করেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের (আইইউএমএস) মহাসচিব আলী আল-কারদাঘি শুক্রবার মুসলিমদের উদ্দেশ্যে জারি করা ফতোয়ায় সব মুসলিম দেশকে ‘এই গণহত্যা এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে অবিলম্বে সামরিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

পূর্বে এ সংস্থাটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত ও প্রভাবশালী ইসলামিক ব্যক্তিত্ব ইউসুফ আল-কারযাভী।

Manual3 Ad Code

১৫ দফা–সংবলিত ওই ফরমানে আলী আর কারদাঘি বলেন, ‘গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে আরব ও ইসলামিক সরকারগুলো ব্যর্থ হলে তা ইসলামিক আইন অনুযায়ী আমাদের নিপীড়িত ফিলিস্তিনি ভাইদের বিরুদ্ধে বড় অপরাধ বলে গণ্য হবে।’

কারদাঘি বলেন, ‘গাজার মুসলমানদের নির্মূলে কাজ করা কাফের শত্রুকে (ইসরাইল) সমর্থন করা নিষিদ্ধ, তা সে যে ধরনের সমর্থনই হোক না কেন।’

Manual3 Ad Code

তিনি আরও বলেন, এদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা অথবা স্থল, জল বা আকাশপথে সুয়েজ খাল, বাব এল-মান্দেব ও হরমুজ প্রণালির মতো আন্তর্জাতিক জলসীমা বা বন্দরের মাধ্যমে তাদের পরিবহনকে সহায়তা করা নিষিদ্ধ।

এই ধর্মীয় নেতা বলেন, ‘গাজায় আমাদের ভাইদের সহায়তার লক্ষ্যে দখলদার শত্রুদের স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে অবরুদ্ধ করার দাবি জানিয়ে কমিটি (আইইউএমএস) একটি ফতোয়া জারি করেছে।’

Manual6 Ad Code

তার এ ফতোয়াকে সমর্থন জানিয়েছেন আরও ১৪ জন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব।

তারা বলেছেন, যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে ইসরায়েলের ‘শান্তি চুক্তি’ আছে সেগুলো যেন পুনর্বিবেচনা বা পর্যালোচনা করা হয়।

এরমাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়ে যেন তিনি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুসলিমদের ওপর হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে বাধ্য হন।

মিডল ইস্ট আই বলছে, কারদাঘি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে সম্মানিত ধর্মীয় নেতাদের একজন। তার ফরমান বা ফতোয়াগুলো বিশ্বের ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলমানের কাছে উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে।

‘ফতোয়া’ হলো ইসলামিক আইনি আদেশ। সাধারণত কুরআন ও হাদিসের আলোকে একজন ধর্মীয় নেতা এ আদেশ জারি করেন। তবে এটি মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়।

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code