প্রজন্ম ডেস্ক:
রাজবাড়ীতে কুকুরের তাড়া খেয়ে আদালত ভবনে কুকুরের মালিক ভ্যানচালককে ডেকে এনে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ ওঠে রাজবাড়ীর এক নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে। গত ১ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় আহত ভ্যানচালক আফজাল খাঁ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং থানায় ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। ম্যাজিস্ট্রেটের অসদাচরণের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত ২২ এপ্রিল সাতক্ষীরার তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন তৈরির কাজে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া দৈনিক কালের কণ্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপুকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল। এ ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় গত ২৭ এপ্রিল পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নূরুল আমিন তালুকদারকে জেল-জরিমানার হুমকি দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম নুরুল আখতার নিলয়ের বিরুদ্ধে। ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণ কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহারের এ রকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২২ (২) এ উল্লেখ আছে, ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।’ আর সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার ২৭ নম্বর বিধিতে বলা হয়েছে ‘সরকারি কর্মচারী সংকীর্ণতা, প্রিয়তোষণ, বেআইনিভাবে ক্ষতিগ্রস্তকরণ এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করিতে পারিবেন না।’
প্রচলিত আইনে সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে প্রশাসনিক ও ফৌজদারি মামলা করার মতো কঠোর বিধানও রয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি ও অসদাচরণ প্রমাণ হওয়ার পরও চাকরিচ্যুত না করে লঘুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা কর্মকর্তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাবেক আমলারা। যার দৃষ্টান্ত মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. রাসেল ও পটুয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম নুরুল আখতার নিলয়ের অসদাচরণের ঘটনা। প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর বেশ কয়েক মাস অনেকটা কোণঠাসা ছিলেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ করেই অনেকটা বেপরোয়া আচরণ শুরু করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন তৈরির কাজে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক টিপু। এ সময় উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী এমএম মামুন আলম তথ্য দিতে অস্বীকার করায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাংবাদিককে ‘তুই জানার কে’ এমন প্রশ্ন করলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সরেজমিন উপস্থিত হয়ে শ্রমিকসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাংবাদিককে ১০ দিনের কারাদণ্ডের রায় দেন। এ ঘটনায় জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২৭ এপ্রিল পটুয়াখালীর সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নূরুল আমিন তালুকদারের সঙ্গে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা) অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। সংগঠনের সমন্বয়ক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান জানান, ঘটনার দিন জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে অধ্যক্ষ কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে তার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন। কলেজে দাখিল পরীক্ষা চলাকালে অধ্যক্ষ কেন কলেজে প্রবেশ করেছেন, কার অনুমতি নিয়েছেন সেটি জানতে চান এবং অশালীন আচরণ করেন। কলেজের অধ্যক্ষ পরিচয় জানার পরও ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেফতার ও জেল-জরিমানা করার হুমকি দেন এবং তাকে কলেজ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন যা অত্যন্ত গর্হিত ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ একজন জুনিয়র কর্মকর্তা কর্তৃক সিনিয়র কর্মকর্তার সঙ্গে এ ধরনের আচরণের তীব্র নিন্দা জানায়। এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিকে আইনানুযায়ী যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ রয়েছে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে। গত বছরের ৪ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সোলাইমান ফরাজী।
এর আগে শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিনের কাছে জাইকার কয়েকটি প্রকল্পের ব্যয়ের তথ্য চেয়ে আবেদন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে শফিউজ্জামান রানা নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল গত বছরের ৫ মার্চ। এ ঘটনার ৯ দিন পরে ১৪ মার্চ তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া পাঁচ সাংবাদিককে নিজ কার্যালয়ে আটকে রেখে হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের বিরুদ্ধে। পাঁচ সাংবাদিককে আটকে রেখে হেনস্থা করার খবর পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা পর লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএমএ মমিন ঘটনাস্থলে এসে কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটের তালা খুলে সাংবাদিকদের মুক্ত করেন। নোমানকে ঘটনার পর দিন ঠাকুরগাঁওয়ে বদলি করা হয়। এ ছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কুমিল্লার লালমাইতে নামাজের সময় সরে গিয়ে লাইন সোজা করতে বলায় মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছিল লালমাইয়ের ইউএনও মো. ফোরকান এলাহি অনুপমের বিরুদ্ধে। এই ইউএনওকে কয়েক দিন পর শাস্তি হিসেবে তখন রাঙ্গামাটির বড়কল উপজেলায় বদলি করা হয়েছিল।
এ ছাড়া ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মাসে ফুটবল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সবার সামনে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি ভেঙে ফেলেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুবা ইসলাম। উপজেলার চৈক্ষ্যং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ইউএনওকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়। এর ঠিক এক দিন আগে বগুড়া সদরের ইউএনও সমর পালের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী আলমগীর হোসেনকে লাঠি দিয়ে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। একই বছরের ২১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে উপহারের ঘর নির্মাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু। কথা বলার প্রথম থেকেই ইউএনও সাংবাদিককে গালাগাল করেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই সাংবাদিককে ‘বেজন্মাও’ বলেন। ওই সময়ে এ ঘটনার একটি অডিও প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। ঘটনার তিন দিন পর ওই ইউএনওকে ওএসডি করা হয়েছিল। সাংবাদিকের সঙ্গে ইউএনওর ভাষা ব্যবহারকে ‘মাস্তানদের চেয়েও খারাপ ভাষা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ইউএনওসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজ ক্যাডারের সিনিয়র কর্মকর্তারা তদন্ত করায় নানা কৌশলে অভিযুক্ত জুনিয়র কর্মকর্তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কয়েকটি ঘটনা গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে লোক দেখানো ওএসডি করা হলেও পরবর্তী সময়ে বিভাগীয় মামলায় গুরুদণ্ডের মতো অভিযোগ প্রমাণিত হলেও দেওয়া হয় লঘুদণ্ড। উদাহরণ হিসেবে তারা জানান, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় কুড়িগ্রামের আলোচিত সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে দুই বছরের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করে ‘লঘুদণ্ড’ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেই দণ্ড বাতিল করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একইভাবে মধ্যরাতে কুড়িগ্রামে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাংবাদিক নির্যাতন করে পদাবনতির সাজা পাওয়া আলোচিত সিনিয়র সহকারী সচিব নাজিম উদ্দিনের সাজাও পরবর্তী সময়ে মওকুফ করা হয়। এসব কারণে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সংযত না হয়ে বেপরোয়া হওয়ার ঘটনা ঘটছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আচরণ নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারদের একাধিকবার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, তারা যেসব জেলায় যাবেন, সেখানকার সব কর্মকর্তার সঙ্গে বসে তাদের আচার-ব্যবহার কেমন হবে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন। কিন্তু এমন নির্দেশনার পরও সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার অকর্মকর্তাসুলভ আচরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটির অবসান হওয়া দরকার। তারা যেন জনগণের সেবকের ভূমিকা পালন করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। একই সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা কারও সঙ্গে অসদাচরণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা জনগণের সেবক। কিন্তু দুঃখজনক হলো দেশের শাসনব্যবস্থা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে তাতে এসি ল্যান্ড, ইউএনও ও ডিসিসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নিজেদের প্রভু এবং জনগণকে প্রজা মনে করেন। তাই তাদের স্যার না বললে তারা মন খারাপ করে খারাপ আচরণও করেন।
সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য চাকরির আচরণবিধি রয়েছে। কেউ সেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ কি কি শাস্তি হবে তা বলা আছে। আবার যদি কেউ ফৌজদারি অপরাধ করে তা হলে ফৌজদারি আইনে তার বিচার হবে। এটি সব নাগরিকের জন্য যে নিয়ম সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তিনি বলেন, একজন সরকারি কর্মচারীর মানসিকতা হওয়া উচিত দেশের সংবিধান, আইন ও বিধি মেনে জনগণের সেবা করা। কিন্তু এই মানসিকতা কারও মধ্যে নেই। মানসিকতা কতটুকু পজেটিভ সেটি দেখতে হবে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিচার হতে হবে। কিন্তু বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি অনেককে আইন লঙ্ঘনে উৎসাহিত করে।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, কর্মকর্তারা যাতে আচরণবিধিমালা মেনে দায়িত্ব পালন করেন সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তারপরও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ কাম্য নয়।
Sharing is caring!