প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পিআর পদ্ধতি: কতটা উপযোগী বাংলাদেশ!

editor
প্রকাশিত জুলাই ৪, ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ণ
পিআর পদ্ধতি: কতটা উপযোগী বাংলাদেশ!

Manual3 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

প্রজন্ম ডেস্ক:

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) নির্বাচনি পদ্ধতি নিয়ে দেশের রাজনীতি এখন সরগরম। এর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা। গত ২৮ জুন শনিবার রাজধানীতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে বড় জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে। অন্যদিকে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে এই পদ্ধতিকে ‘অবাস্তব’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত মঙ্গলবার এক বক্তৃতায় বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতি উপযোগী কি না ভেবে দেখার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সুধী সমাজের পাশাপাশি জনমনেও প্রশ্ন উঠেছে, এই পদ্ধতিতে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা আসলে কতটা বাস্তবসম্মত।

বিশ্বের অনেক দেশে এই পদ্ধতি চালু থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শাসন কাঠামো এই পদ্ধতির জন্য আদৌ প্রস্তুত কি না, জনমনে এমন আলোচনাও উঠেছে। তবে অধিকাংশের মত, দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদব্যবস্থা চালু হলে নিম্নকক্ষে পাওয়া ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচন করা যেতে পারে। তাদের মতে, এমন ব্যবস্থায়ই কেবল একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। তবে নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সংসদ অকার্যকর হবে এবং সরকার টেকসই হবে না বলে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন।

এ ছাড়া এই পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দলের বাইরে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন না। কারণ এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিকে নয়, ভোট দিতে হবে দলকে। এক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারের কোনো মূল্য থাকবে না। অথচ বাংলাদেশের সব নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। দশকের পর দশক ধরে এটা হয়ে আসছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর মতে, পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য মোটেই উপযোগী নয়। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এই পদ্ধতি চালু করা হলে রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। দেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে না। ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হবে। ফলে বিদেশিরা প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পাবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য দেশের ইকোনমি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী মনে করেন, ‘পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে উচ্চকক্ষে নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে এ জন্য উচ্চকক্ষের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। নিম্নকক্ষে করলে সংসদ অকার্যকর হবে। কোনো কিছুতেই একমত হওয়া যাবে না। কারণ আমাদের দেশে অনেক দল, অনেক মত। আবার লোকাল লোকজন তো প্রার্থীদের সেভাবে চিনবে না।’

তিনি বলেন, ‘উচ্চকক্ষে সদস্য নির্বাচিত করা গেলে বিশেষজ্ঞরা সেখানে যেতে পারেন। তারা নিম্নকক্ষকে তত্ত্বাবধান করতে পারেন। পাশাপাশি অন্য দল থেকে সেখানে সদস্য নির্বাচিত করা যেতে পারে।’

Manual7 Ad Code

বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি অনেক জটিল সিস্টেম। এ দেশের মানুষকে পিআর সিস্টেমের অঙ্ক বোঝাতে বহু বছর সময় লাগবে। ১০০ বছরের সিস্টেম রাতারাতি পাল্টানো কঠিন। আমরা যে পদ্ধতিতে ভোট দিয়ে অভ্যস্ত সেটা পাল্টানো বেশ কঠিন। আমার আসনে কাকে ভোট দেব, কে প্রার্থী, সেটা তো জানি না; অথচ অনুপাতিক ভোটের মাধ্যমে একজন নির্বাচিত হয়ে এলে এটা তো লোকে গ্রহণ করবে না।’

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি দেশের জন্য উপযুক্ত। তবে এটা নির্ভর করবে আমাদের সবার একমত হওয়ার ওপর। নেপাল সীমিতভাবে করছে। শ্রীলঙ্কায় স্থানীয় পর্যায়ে এটি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে দেখতে পারি। দুর্বল সরকার বা সবল সরকার দিয়ে আমরা কী করব, যদি সরকার জনগণের কথা না শোনে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ মনে করেন, ‘পিআর পদ্ধতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই দিকই রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট নষ্ট হয় না এবং অধিকাংশ দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। এর অসুবিধা হলো, যে দল সরকার গঠন করে তাদের পক্ষে স্ট্যাটাবিলিটি ধরে রাখা কঠিন হয়। কারণ যারা সরকার গঠনে সহায়তা করে, পরে তারা অনাস্থা প্রকাশ করতে পারে। ফলে সরকার ভেঙে পড়তে পারে।’

পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। এ দেশের ভোটাররা স্থানীয় এবং জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীকে দেখে-চিনে এবং বুঝে একটি নির্দিষ্ট প্রতীক বা মার্কায় ভোট দিতে অভ্যস্ত। কিন্তু ভোটের আনুপাতিক হার হিসাব করে সংসদ সদস্য নির্বাচন করা হলে সেটি এলাকার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করা কঠিন। তা ছাড়া কোন সদস্যকে কোন এলাকার প্রার্থী করা হবে, সেটি নিয়ে জনমনে স্পষ্ট কোনো ধারণা নেই। এ দেশের নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে হাজির করেন সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা।

ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, ‘এই পদ্ধতির কারণে এমন হবে যে ভোটাররা বুঝতে পারল না তাদের প্রতিনিধি কে? তার ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী সৎ মানুষ কি না, কারণ দলই তো প্রার্থী ঠিক করবে। একদিকে বলা হচ্ছে এটা গণতান্ত্রিক, অন্যদিক থেকে চিন্তা করলে চরম অগণতান্ত্রিক। এই পদ্ধতিতে শেষ পর্যন্ত প্রতিনিধি বাছাই করবে রাজনৈতিক দল। উচ্চকক্ষে এটা করা যেতে পারে। নিম্নকক্ষের অনুপাতে সেটা করা যায়।’

শাহদীন মালিক বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি বাস্তবসম্মত নয়। এতে জটিলতা তৈরি হবে। ১০০ বছর ধরে ভোটাররা জানেন কাকে ভোট দেবেন। হুট করে ওই মার্কায় ভোট দেব এবং এমপি কে হবে সেটা পার্টি ঠিক করে দেবে, এটা তো ভোটাররা বুঝতে চাইবেন না।’

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘পিআর সিস্টেম হলে সরকার জনগণের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। তখন সরকারকে মানুষের কথা শুনতে বাধ্য করা হবে। সে জন্য পিআর সিস্টেম উন্নত পদ্ধতি। আমরা কতটুকু করতে পারব সে জন্য আমাদের মধ্যে একটা আলোচনার দরকার আছে। সীমিত আকারে আমরা করে দেখতে পারি।’

Manual3 Ad Code

প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টশন বা পিআর পদ্ধতি হলো এমন একটি নির্বাচনি ব্যবস্থা, যেখানে সংসদের আসন বণ্টন হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে। যেমন সংরক্ষিত আসন বাদ দিয়ে বাংলাদেশে সংসদের আসন সংখ্যা ৩০০টি। এখন কোনো দল প্রদত্ত ভোটের শতকরা দশ ভাগ লাভ করলে এই দল সংসদের ১০ শতাংশ বা ৩০টি আসন পাবে।

Manual5 Ad Code

বিশ্বে সর্বপ্রথম বেলজিয়ামে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮৯৪ সালে অনুষ্ঠিত সেই নির্বাচনে ক্যাথলিক, লিবারেল ও লেবার পার্টি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে। এর আগে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে লেবার পার্টির সদস্য প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পাননি। ২০০১ সালে স্প্রিঞ্জার জার্নালে নিউজিল্যান্ডের নির্বাচনে পিআর পদ্ধতির প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেই নিবন্ধের সারসংক্ষেপ বলছে, এই পদ্ধতিতে শুরুতে ব্যাপক জনসমর্থন ছিল। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় সেই সমর্থন এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসে। কারণ, এর মাধ্যমে অজনপ্রিয় একটা ছোট সরকার গঠিত হয়েছে, যারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। এই পদ্ধতিতে প্রার্থিতা নির্ধারণে দলীয় স্বার্থ বেশি প্রভাবিত হয়। তবে ইউরোপের অনেক দেশে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইউরোপের দেশগুলোর শিক্ষা, আর্থসামাজিক অবস্থা, ভোটার ও নাগরিকদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তৃতীয় বিশ্ব তথা বাংলাদেশের পার্থক্য রয়েছে। এ দেশে সৎ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরিবর্তে যার মাধ্যমে লাভবান হওয়া যাবে, এমন প্রার্থীকেই ভোটাররা বেছে নেন বলে সমাজে আলোচনা রয়েছে। এ কারণেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দ্বিদলীয় ব্যবস্থার মধ্যেই এখনো নির্বাচনি ফলাফল আটকে আছে বলে মনে করা হয়। পিআর পদ্ধতির পক্ষে সোচ্চার দলগুলোর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নির্দিষ্ট সংখ্যক আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়। বিএনপির সমর্থন ছাড়া অন্য বেশির ভাগ দলেরই নির্বাচনি বৈতরণী পার হওয়া অনেকটাই কঠিন বলে দেশের রাজনীতিতে আলোচনা আছে। অবশ্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া নবগঠিত এনসিপির বিষয়টি পরীক্ষিত নয়।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি শতকরা ৪০ দশমিক ৯৭ ভাগ এবং আওয়ামী লীগ ৪০ দশমিক ১৩ ভাগ ভোট পায়। এই নির্বাচনে বিএনপির মিত্র জামায়াতে ইসলামী শতকরা ৪ দশমিক ২৮, নাজিউর রহমানের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি ১ দশমিক ১২ এবং ইসলামী ঐক্যজোট শূন্য দশমিক ৬৮ ভাগ ভোট পায়।
অন্যদিকে এরশাদের নেতৃত্বাধীন ইসলামী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট শতকরা ৭ দশমিক ২৫ ভাগ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ শূন্য দশমিক ৪৭, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) শূন্য দশমিক ৪৪, জাসদ শতকরা শূন্য দশমিক ২১ ভাগ ভোট লাভ করে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শতকরা ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ এবং বিএনপি ৩২ দশমিক ৪৫ ভাগ ভোট পায়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন অন্য তিন দল জামায়াত ৪ দশমিক ৭, বিজেপি শূন্য দশমিক ২৫ এবং ইসলামী ঐক্যজোট শূন্য দশমিক ১৫ ভাগ ভোট পায়। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি শতকরা ৭ দশমিক শূন্য ৪, জাসদ শূন্য দশমিক ৭২, ওয়াকার্স পার্টি শূন্য দশমিক ৩৭ ও এলডিপি শূন্য দশমিক ২৭ ভাগ ভোট লাভ করে।

পিআর পদ্ধতির বিষয়ে সোচ্চার দলগুলো শেখ হাসিনার সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে একাট্টা ছিল। কিন্তু হাসিনার পতন-পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি তৈরি হয়েছে। এ কারণে ক্ষমতার সঙ্গী বা সংসদে আসন পাওয়ার জন্য তারা বিএনপিকে চাপের মুখে ফেলতে চাইছে। নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি অনুসরণে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাট্টা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এর বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে অবাস্তব বলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দলের অনুসারীরা এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পিআর পদ্ধতিতে দলীয় প্রধান অসম্ভব ক্ষমতাশালী হয়ে উঠতে পারেন। সে ক্ষেত্রে মনোনয়ন-বাণিজ্য আরও বাড়তে পারে। পিআর পদ্ধতির কারণে জাতীয় ঐক্য দুর্বল হতে পারে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন গোষ্ঠী স্বার্থ নিয়ে রাজনীতি করা দলের সদস্যরাও সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন। অঞ্চলভিত্তিক দলগুলোর প্রভাব এতে বেড়ে যেতে পারে।

উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির পক্ষে অধিকাংশের মত

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হলে ও উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করা গেলে রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় থাকবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুদক, পিএসসিসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ যদি উচ্চকক্ষ থেকে হয়, তাহলে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত আসবে। সরকারি ও বিরোধী দল পরস্পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।

অনেকে বলছেন, উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে কয়েকটি নির্বাচনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করার পর সবাই প্রয়োজন মনে করলে নিম্নকক্ষের নির্বাচন এই পদ্ধতিতে করা যেতে পারে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code