প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল, দাবি মার্কিন প্রতিবেদনে

editor
প্রকাশিত আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল, দাবি মার্কিন প্রতিবেদনে

Manual2 Ad Code

 

স্টাফ রিপোর্টার:

Manual3 Ad Code

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর মানবাধিকার পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখনও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৪ এ এসব দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেশটির পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। কয়েক সপ্তাহের ওই আন্দোলনে কয়েশ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে বলা হয়, এর ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর ৮ আগস্ট শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার।

Manual5 Ad Code

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আগস্টে কিছু ঘটনার পর দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। অবশ্য এখনও বেশ কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণ রয়েছে।

মার্কিন প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নির্বিচার বা বেআইনি হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন কিংবা নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তি, নির্বিচার গ্রেফতার, বিদেশে থাকা সমালোচকদের সরকারিভাবে হয়রানি, মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর বিধিনিষেধ, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি, সাংবাদিকদের অযৌক্তিকভাবে গ্রেফতার বা বিচার এবং সেন্সরশিপ, শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতার ওপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ, শ্রম অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি বা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হুমকি, মারাত্মক মাত্রায় শিশুশ্রম বিদ্যমান থাকা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকার পরও আগের সরকার ব্যাপকভাবে দায়মুক্তি দিয়েছে দাবি করে প্রতিবেদনে বলা হয়, খুব কম ক্ষেত্রেই কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শনাক্ত ও শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সাবেক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযুক্ত অনেক ব্যক্তিকে আইনের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

Manual6 Ad Code

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমের ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বছরের জুলাই ও আগস্টের ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। সেসব ঘটনায় ছাত্রলীগের দ্বারা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের আলামত পাওয়া গেছে।

অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে জাতিসংঘের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একযোগে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রচলিত বিচারব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, উভয় মাধ্যম ব্যবহার করেই দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Manual4 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code