প্রজন্ম ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি এআই জেনারেটেড স্বাস্থ্যসংক্রান্ত একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে একজন প্রতিবাদী নারী এক মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায় ‘আপনারা যদি স্বাস্থ্য খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি না করে সত্যি সত্যি ভালো হাসপাতাল বানাতেন, তাহলে আপনাদেরও সামান্য চিকিৎসার জন্য জনগণের টাকায় বিদেশে দৌড়াতে হতো না। আর আমাদেরও সরকারি হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরতে হতো না। আপনারা আমাদের চিকিৎসার টাকা দিয়েই তো সিঙ্গাপুর ভ্রমণের বিলাসবহুল টিকিট কাটেন।’
এটা শুধু ফেসবুকের ভার্চুয়াল ক্ষোভ না; ভুক্তভোগী বহু মানুষের বাস্তব অভিজ্ঞতাও এমনই। সুযোগ পেলেই তারা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন। তাদের হামেশাই বলতে শোনা যায় নির্ভর করার মতো একটা হাসপাতালও নেই দেশে! আওয়ামী লীগসহ আগের আমলে মন্ত্রীরা বিদেশে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখন সেই ধারাবাহিকতায় একই সুযোগ নিচ্ছেন উপদেষ্টারা। প্রশ্ন উঠেছে ভবিষ্যতের মন্ত্রীরা কি এ বাস্তবতা থেকে মুক্ত থাকবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ ২০০৯ থেকে টানা ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। এ সময় ৫৯ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা খরচ ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৯০৮ টাকা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নিয়েছেন। প্রায় ১৩০ জন ব্যক্তি ঘুরফিরে মন্ত্রিত্ব করেছেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ আরও কিছু মন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা করাতেন না। তারা দেশের হাসপাতালেরই ভরসা করতেন। আর কখনো বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও তা নিজেরাই পরিশোধ করতেন।
আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছর শাসনামলে সরকারি খরচে বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণকারী মন্ত্রীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন প্রথমে স্থানীয় সরকার ও পরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং প্রথমে পররাষ্ট্র ও পরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফ ৪ কোটি ৪১ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৬ টাকার চিকিৎসা খরচ নিয়েছেন। মোস্তাফা জব্বার নিয়েছেন ৪ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৫১১ এবং দীপু মনি নিয়েছেন ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৯ হাজার ৫২০ টাকা।
কীভাবে তারা মন্ত্রীদের বিদেশে চিকিৎসার খরচ দেন জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসেবা শাখার একজন সাবেক অতিরিক্ত সচিব জানান, এ-সংক্রান্ত কোনো বিধিমালা বা নীতিমালা নেই। তবে ১৯৭৩ সালের ‘দ্য মিনিস্টার্স, মিনিস্টার্স অব স্টেট অ্যান্ড ডেপুটি মিনিস্টার্স (রেমুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট’-এ মন্ত্রীদের চিকিৎসা খরচ দেওয়ার একটি সুযোগ রাখা হয়েছে। আইনটি ১৯৭৩ সালের হলেও প্রায় সব সরকারই এর ব্যবহার করেছে এবং আইনটি নিজেদের মতো করে সংশোধন করেছে। সাধারণত মন্ত্রীরা বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নামকাওয়াস্তে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে চিকিৎসা ব্যয় চান। তাদের আবেদন পাওয়ার পর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সার-সংক্ষেপ আকারে পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করার পরই কেবল চিকিৎসা খরচ মন্ত্রীদের দেওয়া হয়।
মন্ত্রীদের বিদেশে চিকিৎসা ব্যয় দিতে গিয়ে কী ধরনের ঝামেলায় পড়তে হয় জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, সাধারণত মন্ত্রীরা বিদেশে বিল মেনটেন করেন না। তারা মেডিকেল সংক্রান্ত কাগজ দিয়ে চিকিৎসা খরচ চান। এগুলো ঠিকভাবে অডিট করলে নানা জটিলতা পাওয়া যাবে। তারপরও যতটুকু সম্ভব আমরা যাচাই-বাছাই করে দিই। মন্ত্রী থাকাবস্থায় তাদের খুব বেশি প্রশ্ন করা যায় না। এ-সংক্রান্ত ব্যয়ের কোনো লিমিট নেই। অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হলে অর্থ বিভাগ সাধারণত আপত্তি করে না। নীতিমালা না থাকায় বেশিরভাগ মন্ত্রী চিকিৎসা খরচ চান না। আবার বিষয়টি মন্ত্রীদের সব জানাও থাকে না।
দেশের ভেতরে চিকিৎসা নিলে মন্ত্রীরা কীভাবে তা পরিশোধ করেন জানতে চাইলে সম্প্রতি নাম বদলে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) একজন সাবেক ভিসি বলেন, মন্ত্রীদের চিকিৎসার খরচ আমরা নানাভাবে ম্যানেজ করি। যদি খরচের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়, তখন বিল করে তা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিই। এটা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে রেখে দিলে অডিট ঝামেলা করে। এ ঝামেলা এড়ানোর জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিতাম।
সৈয়দ আশরাফ দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিলেন। পরে তাকে দেশে এনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের মতো আমলাদের মধ্যেও ‘গ্রহণযোগ্য’ ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি সৈয়দ আশরাফ মারা যান। ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এ সময় তার চিকিৎসা ব্যয় সরকারিভাবে বহন করা হয়।
দীপু মনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৯ সালে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও তিনি প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী। ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের পতনের বছর ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী। দীপু মনির কোনো অসুস্থতার খবর দিতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তাবে তিনি যখন শিক্ষামন্ত্রী তখন তার স্বামী ড. তৌফিক নাওয়াজ গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। স্ট্রোকের পর তাকে ভারতের ধীরু ভাই আম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি ছয় দফায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে চিকিৎসা খরচ নেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো ৩৬ লাখ টাকা চিকিৎসা খরচ নেন। তারপর থেকে এমন কোনো বছর নেই যখন তিনি চিকিৎসা খরচ নেননি। এমকি ২৪ সালেও ৪৫ লাখ টাকার চিকিৎসা খরচ নিয়েছেন।
২০০৯ থেকে ২০১৩ মেয়াদে ড. মো. আবদুর রাজ্জাক ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। এর পরের মেয়াদে তিনি আর মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। কিন্তু ২০১৯ সালে আবার মন্ত্রিসভায় ঢুকে যান। পেয়ে যান কৃষি মন্ত্রণালয়। সফল কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে হটিয়ে তিনি এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসেন। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালে চিকিৎসা খরচ না নিলেও এবার তা ছাড়লেন না। চার দফায় তিনি নিয়েছেন ৭৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮০ টাকা। অথচ তার পূর্বসূরি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দীর্ঘ সময় সরকারে থাকলেও কোনো চিকিৎসা ভাতা নেননি। তিনি কখনো বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন বলে জানা যায়নি। দেশে চিকিৎসা করিয়েছেন এবং তার খরচ নিজেই বহন করেছেন।
প্রমোদ মানকিন প্রথমে সংস্কৃতিবিষয়ক ও পরে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে হওয়া প্রথমত প্রতিমন্ত্রী। ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ভারতের মুম্বাইয়ের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে মারা যান। মারা যাওয়ার চার মাস আগে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফেরেন। তার পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে ৭১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫২ টাকা।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী থাকাবস্থায় মারা গিয়েছিলেন সৈয়দ মহসিন আলী। নিউমোনিয়া, হার্টের অসুখ ও ডায়াবেটিকে আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মন্ত্রী থাকাকালে মি. আলীর নানা কর্মকা- প্রায়ই আলোচনার জন্ম দিত। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবিষ্ট অবস্থায় তার ধূমপানের একটি ছবি ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় যখন মহসিন আলীর মৃতদেহ প্রক্রিয়াজাত করার জন্য ৫ লাখ ৮১ হাজার ৫২৩ টাকার হিসাবসংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে গেছেন এমন প্রায় সব মন্ত্রীই বিদেশে চিকিৎসা খরচ নিয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এনামুল হক মোস্তফা শহীদ। তিনি পাঁচ বছর মন্ত্রী ছিলেন। পাঁচ বছরই সরকারি খরচে বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। এ সময় তার পেছনে সরকারের খরচ হয় ৩০ লাখ ১৮ হাজার ৬৪০ টাকা। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তুলে নেন ৩১ লাখ টাকা। এ মন্ত্রণালয়ে থাকার সময় রাশেদ খান মেননও চিকিৎসা খরচ নিয়েছেন ৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিভিন্ন সময়ে বিদেশে চিকিৎসা খরচ নিয়েছেন ৬২ লাখ ৩৩ হাজার ২৬ টাকা। ২০১৯ সালের ২ মার্চ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে দ্রুত এনজিওগ্রাম করার পর তার হৃৎপি-ের রক্তনালিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। ভারতের বিখ্যাত চিকিৎসক দেবী শেঠি ঢাকায় এসে ওবায়দুল কাদেরকে দেখে যান। পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালেই তার বাইপাস সার্জারি হয়। ২ মাস ১১ দিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য নিয়মিত সিঙ্গাপুর যান ওবায়দুল কাদের। মি. কাদের দুই দফায় সরকারের কাছ থেকে ৬০ লাখ ৯৬ হাজার ৭১৭ টাকার চিকিৎসা খরচ নেন।
২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলেছেন সাহারা খাতুন এবং আসাদুজ্জামান খান কামাল। শুরুতে অল্পদিন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন সোহেল তাজ। দুই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীই সরকারি ব্যয়ে বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন। আসাদুজ্জামান খান নিয়েছেন ৫৭ লাখ ৫৬ হাজার ২৬ টাকা। শুরুর পাঁচ বছরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়েছিলেন ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ৬০৪ টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও প্রতিমন্ত্রী মুজিবুর রহমান ফকির বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে তার খরচ নিয়েছেন। ২০২৪ সালে এসে মাত্র কয়েক মাসের জন্য কৃষিমন্ত্রী ছিলেন মো. আবদুস শহীদ। এ অল্প সময়েও তিনি চিকিৎসা খরচ নিয়েছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯২২ টাকা। তরুণ মন্ত্রীদের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ৫৫ লাখ টাকা চিকিৎসা খরচ নিয়েছেন। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার নিয়েছেন ৪৫ লাখ টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিয়েছেন ৪১ লাখ।
বিদেশে চিকিৎসা খরচ নেওয়া অন্যান্য মন্ত্রীর মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, এমএ মান্নান ও আবদুস সালাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী মায়া, মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও ছায়েদুল হক, শ্রমমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মন্নুজান সুফিয়ান, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, নূরুল মজিদ মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও ওমর ফারুক, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ইয়াজ উদ্দীন প্রামাণিক ও গোলাম দস্তগীর গাজী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা ও শামসুর রহমান শরীফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন সিকদার ও আহাদ আলী সরকার, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী শাজাহান মিয়া, ফরিদুল হক খান ও শেখ মো. আব্দুল্লাহ, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন এবং পূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান।
Sharing is caring!