প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রমজানের আগে নির্বাচনের ঘোষণা জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে: কাদের গনি চৌধুরী

editor
প্রকাশিত আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ণ
রমজানের আগে নির্বাচনের ঘোষণা জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে: কাদের গনি চৌধুরী

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, রমজানের আগে নির্বাচনের ঘোষণা হতাশ জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে। গণতন্ত্রের মূলভিত্তি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হয় না আবার গণতন্ত্র ছাড়া নির্বাচন প্রায় অর্থহীন বা আত্মাহীন দেহের মতো। তাই আমরা একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রী হওয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। যারা নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেবে জাতির কাছে তারা গণতন্ত্রের দুশমন হিসেবে চিহ্নিত হবেন।

Manual1 Ad Code

বুধবার বিকালে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের বছরপূর্তি উপলক্ষে পেশাজীবীদের র‍্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব বলেন। পেশাজীবীরা পরে মিছিল নিয়ে বিএনপি আয়োজিত বিজয় র‍্যালিতে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের তত্বাবধানে সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে র‍্যালিতে প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার উমাইশা উমায়ন মনি, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, জাহানারা সিদ্দিকী, ডা. রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, কৃষিবিদ সানোয়ার হোসেন, সাংবাদিক এরফানুল হক নাহিদ, অপর্না রায়, কৃষিবিদ ড. শফিক, সাংবাদিক রাশিদুল হক
ইঞ্জিনিয়ার মুসলিম উদ্দিন, সাংবাদিক আল আমিন, রিয়েল রোমান, ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Manual4 Ad Code

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সরকারের নৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী থাকে।গত ১৭টি বছর এদেশের মানুষ ছিল ভোটাধিকারহীন।মানুষ এখন ভোট দিতে চায়। তাদের অধিকার ফিরিয়ে পেতে চায়।

তিনি বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে মুক্তি পেয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বিগত ১৬ বছর শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে সোনার বাংলাকে পরিণত করা হয়েছিল মৃত্যু উপত্যাকায়। ফ্যাসিস্ট শাহীর ভয়ঙ্ক সময়ে দেশের মানুষ ছিল অধিকার হারা। দেশে গণতন্ত্র ছিল না। মানবাধিকার ছিল না। আইনের শাসন ছিল না। ভোটাধিকার ছিল না। বাক-স্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছিল না। ‘ন্যায় বিচারের ব্যাংক’ হয়ে হয়ে পড়েছিল দেউলিয়া। মানবতার কোষাগার শূন্য হয়ে পড়েছিল। ছিল না স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।
পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরাও রেহাই পাননি শেখ হাসিনার নিষ্ঠুর শাসন থেকে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আফতা আহমদ, সাংবাদিক ফরহাদ খাঁ দম্পতি, এডভোকেট এইউ আহমদ, ব্যাংকার বিএম সাকের হোসাইনসহ অসংখ্য পেশাজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার ১৬ বছরে জীবন দিতে হয়েছিল ৬৭ জন সাংবাদিককে। পিলখানায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনাকর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়। শাপলা চত্বরে ব্রাশফায়ারে অনেক আলেমকে হত্যা করা হয়। গুম-খুন ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, শিক্ষক, ব্যাংকার থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কর্মী কেউ রেহাই পায়নি নিষ্ঠুরতা থেকে।

Manual2 Ad Code

পেশাজীবীদের এ নেতা বলেন, চাকরি, পদোন্নতি হতো দলীয় বিবেচনায়। ভিন্নমতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তিমূলক বদলি, পদোন্নতি বঞ্চিত ও চাকরিচ্যুতি ছিল নিত্যদিনের ঘটনা।

আমরা আশা করি, সুশৃঙ্খল ও সমৃদ্ধতায় আমাদের এই দেশ হবে এমন এক আইডল, যা দেখে পিছিয়ে পড়া অন্যদেশগুলো শিক্ষা নেবে। বাংলাদেশের দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকাবে। আমাদের এই মাতৃভূমিতে একজন লোকও না খেয়ে থাকবে না। রাস্তায় ধুলোয় মলিন দিন কাটাবে না কোনো শিশু, কেউ কাউকে ধোঁকা দেবে না, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করবে না। অন্যের ক্ষতি করবে না। অন্যের দুঃখে ব্যথিত হবে, পাশে দাঁড়াবে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।

নারীদের জন্য চাই মায়ার চাঁদরে ঘেরা অকৃত্রিম প্রেমের বাংলাদেশ। যেখানে আর লজ্জিত ও লাঞ্ছিত হবে না একজন মা- বোন।

বৃদ্ধ বাবা মায়ের জন্য চাই বিশুদ্ধ মায়া ও শ্রদ্ধার বাংলাদেশ। যেখানে কউ আর নিজেদের বৃদ্ধ বাপ-মাকে বোঝা মনে করবে না।

Manual5 Ad Code

সর্বশেষ তারুণ্য নির্ভর-বাংলাদেশ চাই। তরুণদের জন্য অপার সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশ। তরুণরাই যেন আমাদের টেনে নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code