প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে: তারেক রহমান

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ০১:৪৯ অপরাহ্ণ
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে: তারেক রহমান

Manual8 Ad Code

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: ­

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়তে থাকবে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

Manual8 Ad Code

আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়ালি তিনি এসব কথা বলেন।

Manual7 Ad Code

 

তারেক রহমান বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্য সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।’

Manual5 Ad Code

তারের রহমান বলেন, ‘অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সব সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।’

তিনি বলেন, নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ততই ষড়যন্ত্র বাড়বে। কারণ, আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারকে হটিয়েছি। কিন্তু হটিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার তো থেমে নেই। দেশি ও বিদেশি দোসরদের নিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু একটি নির্বাচনের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। দেশের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি আর দরকার নির্বাচন। সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে বলে জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন, দেশের রাজনীতির রুগ্ণ বা অসুস্থ হলে, দেশের সবকিছু অসুস্থ হয়ে যায়। তাকিয়ে দেখুন, স্বৈরাচার সরকার সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে এই রাজনৈতিক রুগ্‌ণতার মাধ্যমে।

নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দেবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।’

Manual6 Ad Code

চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দমন-পীড়ন, নির্যাতনের মাধ্যমে এক ভয়ংকর স্বৈরাচার রূপ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ, শেষে জনগণের রোষে তারা দেশ থেকে পালিয়েছে।

ফখরুল আরও বলেন, সংস্কার করার পর তা টেকসই করতে হলে জনগণের সমর্থন লাগবে, আর তা করতে পারবে নির্বাচিত সরকার, গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট।

বিএনপি নির্বাচন ক্ষমতার জন্য চায় না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য বিএনপি নির্বাচন চায়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন চায়। বিএনপি তরুণদের কাছে দায়িত্ব দিতে চায়, তরুণ ও ছাত্রদের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই, শুধু জনগণের স্বার্থে, ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় নির্বাচন চায় বিএনপি। যারা আন্দোলনে ছিল, তাদের নিয়েই সরকার গঠন করে সংস্কার এগিয়ে নিতে চায় বিএনপি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুজ্জামান মনা, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

সম্মেলন সঞ্চালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি রফিকুল হাসান তনু ও দার্শনা পৌর বিএনপির প্রধান সমন্বয়ক হাবিরুর রহমান বুলেট। এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে সম্মেলনের শুরু হয়।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৪ বছর পর আজ ২৩ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির ইতিহাসে কোনো খোলা ময়দানে এত বড় আয়োজনে সম্মেলন এই প্রথম। সম্মেলনে ৮০৮ জন কাউন্সিলর ও ১৩ হাজার ডেলিগেট উপস্থিত ছিলেন।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code