স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি বছরের আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারের শেষ ম্যাচে আফ্রিকার মাটিতে নামছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। আগামী ১৪ নভেম্বর লুয়ান্ডায় অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রীতি ম্যাচ, যা মেসিদের জন্য বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তবে ম্যাচটি ঘিরে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। বিশ্বকাপ সামনে রেখে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ফুটবল বিশ্লেষকরা।
আর্থিক দিক থেকে অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলে বেশ লাভবানই হচ্ছে তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। আফ্রিকার গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এ ম্যাচের জন্য স্বাগতিক অ্যাঙ্গোলা মেসির আর্জেন্টিনাকে প্রায় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪৬ কোটি টাকা) দিয়েছে।
ফরাসি সাংবাদিক রোম্যাঁ মোলিনা বলেন, ‘অনেক দেশ আর্জেন্টিনাকে আমন্ত্রণ জানাতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত অ্যাঙ্গোলাই রাজি হয়। অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনাকে আতিথ্য দেবে দেশটি। এ জন্য তারা প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।’
অ্যাঙ্গোলার জন্য এটি কেবল একটি প্রীতি ম্যাচ নয়; বরং লিওনেল মেসি ও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা দলকে নিজ দেশে আতিথ্য জানানোর ঐতিহাসিক সুযোগ। আসন্ন ম্যাচে লুয়ান্ডার ৪৮ হাজার আসনবিশিষ্ট স্টেডিয়ামটি যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বর্তমানে ফিফা র্যাংকিংয়ে আর্জেন্টিনা রয়েছে ২ নম্বরে, যেখানে অ্যাঙ্গোলার অবস্থান ৮৯তম স্থানে। এই প্রীতি ম্যাচ তাই একদিকে আর্জেন্টিনার জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক, অন্যদিকে অ্যাঙ্গোলার জন্য মর্যাদাপূর্ণ এক ফুটবল উৎসবে পরিণত হতে চলেছে।
Sharing is caring!