প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে রুখে দিয়েও হতাশাই উপহার পেল ইউনাইটেড

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ
অ্যানফিল্ডে লিভারপুলকে রুখে দিয়েও হতাশাই উপহার পেল ইউনাইটেড

Manual4 Ad Code

স্পোর্টস ডেস্ক:
গোল করে ইউনাইটেডকে সমতায় ফিরিয়ে আমাদ দিয়ালোর উল্লাস (বাঁয়ে), গোল মিস করে হতাশায় মাঠ ছাড়ছেন হ্যারি ম্যাগুয়ের

অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবশেষ জয়টা এসেছিল সেই ২০১৬ সালে। এরপর থেকে শেষ নয় বছরে অ্যানফিল্ডে ম্যাচ হলেই একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হতো ইউনাইটেডকে। মাঝে তো ৪-০, ৭-০ গোলে হারের দুঃস্মৃতিও সঙ্গী হয়েছে দলটার।

গত রাতের সবশেষ লড়াইয়ের স্কোরলাইন ২-২; শেষ আধ মৌসুমে লিভারপুলের ফর্ম, বর্তমানে দুই দলের প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে অবস্থান হিসেবে রাখলে ম্যাচটা শেষ করে ম্যান ইউনাইটেডের তৃপ্তির ঢেঁকুরই তোলার কথা। কিন্তু সেটা হচ্ছে না যেভাবে ম্যাচটা শেষ হলো তার কারণে, শেষ কিকটা একটু এদিক ওদিক হলে ১ নয়, ৩ পয়েন্ট নিয়েই যে মাঠ ছাড়তে পারত ইউনাইটেড!

খেলার আগের রাতের তুষারপাত এবং ভারী বৃষ্টিতে শঙ্কা ছিল ম্যাচটা নিয়ে। এরপর ম্যাচটা বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে মাঠে গড়ায়। তবে পিচ ছিল ধীর এবং ভেজা। দুই দলই অবশ্য এই প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করেছে পারফর্ম্যান্স দিয়ে।

শুরুতে লিভারপুলই আক্রমণ করেছে বেশি। কোডি গাকপো এবং মোহামেদ সালাহর একাধিক চেষ্টা ব্যর্থ হয় এ সময়। ওদিকে ইউনাইটেডের তাদের মূল আক্রমণ শানাচ্ছিল বাম দিক থেকে, যেখানে ব্রুনো ফার্নান্দেজ, দিয়াগো ডালোট এবং রাসমুস হয়লুন্ড ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের পেছন দিকে বেশ ফাঁকা জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন। তবে শুরুর অর্ধে গোলের দেখা কোনো দলই পায়নি।

Manual8 Ad Code

দ্বিতীয়ার্ধে ডেডলকটা ভাঙে ইউনাইটেড। ব্রুনো ফার্নান্দেজের কাছ থেকে বল পেয়ে মার্টিনেজ এক দুরূহ কোণ থেকে অ্যালিসন বেকারকে ফাঁকি দিয়ে ক্রসবারের নিচ দিয়ে বল জালে পাঠান। তবে এগিয়ে যাওয়ার সে সুখ ইউনাইটেড খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। সাত মিনিট পর গাকপোর গোলে সমতা ফেরায় লিভারপুল। মাতিয়াস ডি লিখটের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোলটা করেন ডাচ ফরোয়ার্ড।

Manual3 Ad Code

ডি লিখট দ্বিতীয়বারের মতো ভুল করেন একটু পরই। আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্রসে হেড করেছিলেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, তাতে হাত লেগে যায় ডাচ ডিফেন্ডারের। ভিএআর দেখে এসে পেনাল্টি দেন রেফারি। মোহামেদ সালাহ স্পটকিক থেকে করেন গোল, তখন লিভারপুলের জয়টাকেই ভবিতব্য বলে মনে হচ্ছিল।

Manual7 Ad Code

সে ধারণা ভুল প্রমাণিত হয় একটু পর। ইউনাইটেড আবারও লড়াই করে ফিরে আসে। ব্রুনো ফার্নান্দেজের একটি পাস থেকে বল পেয়ে আলেহান্দ্রো গারনাচো একটি দুর্দান্ত ক্রস দেন, তা খুঁজে পায় ছয় গজের দূরত্বে থাকা আমাদ দিয়ালো ত্রায়োরেকে। সেখান থেকে গোলটা করতে ভুল করেননি তিনি। লিভারপুলের জয়টা হাতছাড়া হয় এই গোলে!

Manual8 Ad Code

তবে ইউনাইটেডের ‘স্বস্তি’টা পরমানন্দে রূপ নিতে পারত একটু পরেই। সে সুযোগটা এসেছিল শেষ কিছু দিনে সবচেয়ে সমালোচিত দুই চরিত্র জশুয়া জার্কজি আর হ্যারি ম্যাগুয়ারের সামনে। শেষ মুহূর্তে জার্কজি বল বাড়ান ম্যাগুয়ারের সামনে, তার সামনে লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার রীতিমতো একাই ছিলেন। তবে ম্যাগুয়ারের শটটা চলে যায় ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে। ফলে সাম্প্রতিককালের দুই নিন্দিত ইউনাইটেড তারকার আর নন্দিত হয়ে ওঠা হয়নি। ইউনাইটেডেরও জয়টা পেতে পেতেও পাওয়া হয়নি। অ্যানফিল্ডে রেড ডার্বি শেষে তাই ওই হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রেড ডেভিলদের।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code