প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা : ইউপি সদস্যসহ ৪৫ জনের নামে মামলা

editor
প্রকাশিত মে ৫, ২০২৫, ০৫:১১ পূর্বাহ্ণ
বিজিবির অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা : ইউপি সদস্যসহ ৪৫ জনের নামে মামলা

Manual2 Ad Code

নিউজ ডেস্ক:
ভারতের মেঘালয় থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে নিয়ে আসা ফুচকা-চিনি ছিনিয়ে নেওয়ার পর বিজিবি টহল দলের ওপর হামলা করে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ ৪৫ চোরাকারবারির নামে মামলা দায়ের করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন বিজিবি সিলেট সেক্টরের ২৮ বিজিবির সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়নের তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপির বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার।

মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সদস্য শিমুলতলা গ্রামের বাসিন্দা পেশাদার চোরাকারবারি সাহিবুর মিয়া ওরফে সাহিবুর মেম্বার, একই উপজেলার একই ইউনিয়নের মাণিগাঁও গ্রামের পাভেল হোসেন, সীমান্ত টিলা বারেকটিলার লিটন মিয়া, বুটকন মিয়া, ইয়াছিন মিয়া, শফিকুল ইসলাম, আলী হোসেন, সীমান্ত গ্রাম বড়গোপ টিলার তোতা মিয়া, বুলবুল মিয়া, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর, কাজল, মাহারাম টিলার ফখর উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, সোলাইমানসহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন।

Manual7 Ad Code

রোববার বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, শনিবার রাতে ৪০ থেকে ৪৫ জন চোরাকারবারি সংঘবদ্ধ গয়ে ভারতের মেঘালয় থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে ফুচকা (প্যাকেটজাত খাদ্যসামগ্রী) চিনির চালান নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশের পর ২৮ বিজিবির লাউরগড় বিওপির বিজিবি টহল দলের সদস্য এসব আটক করেন।

Manual6 Ad Code

এরপর চোরাকারবারি সংঘবদ্ধ হয়ে হাঁসুয়া, ধারালো দা, লাঠিসোটা নিয়ে বিজিবি টহল দলের সদস্যদের হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে হামলা করে জব্দকৃত চোরাচালানের ফুচকা, চিনির অধিকাংশ বস্তা ছিনিয়ে নেয়। চোরাকারবারিরা এক বিজিবি সদস্যের গলায় হাঁসুয়া ঠেকিয়ে কয়েক বস্তা ফুচকা চিনি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। চোরাকারবারিদের হামলায় বিজিবির ২ সিপাহী ও নায়েক সদস্য আহত হন।

Manual8 Ad Code

পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজিবি নায়েক এসএমজি থেকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেন। এরপর চোরাকারবারিরা বিজিবির ওই নায়েককে আহত করে এসএমজি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।

Manual5 Ad Code

রোববার তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হাফিজুল ইসলাম জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code