প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

৬০০ বছরের পুরোনো মসজিদ প্রাঙ্গণে তরুণ-তরুণীর নাচ, সমালোচনার ঝড়

editor
প্রকাশিত মার্চ ৯, ২০২৫, ০৭:২৬ পূর্বাহ্ণ
৬০০ বছরের পুরোনো মসজিদ প্রাঙ্গণে তরুণ-তরুণীর নাচ, সমালোচনার ঝড়

Manual7 Ad Code

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার হারুয়ালছড়িতে মোগল আমলে নির্মিত ফকিরপাড়া গায়েবি শাহি জামে মসজিদের প্রাঙ্গণে তরুণ-তরুণীর নাচের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গোটা উপজেলাজুড়ে চলছে সমালোচনা।

Manual3 Ad Code

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, মসজিদের সিঁড়ি বেয়ে নিচে সড়কের দিকে বেরিয়ে আসা খোলা জায়গায় বাংলা একটি গানের সঙ্গে তরুণ-তরুণী নানা অঙ্গভঙ্গি করে নাচছেন। তবে ভিডিওটি কবে ধারণ করা হয়েছে এবং কারা এটি করেছেন, তা এখনও জানা যায়নি।

হারুয়ালছড়ি এলাকায় অবস্থিত ফটিকছড়ি-বারৈয়ারঢালা সড়কের পাশে চৌধুরীবাড়ির সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী ফকিরপাড়া গায়েবি শাহি জামে মসজিদটির অবস্থান। মোগল আমলের ফকিরপাড়া শাহি জামে মসজিদ হিসেবে এটি পরিচিত। ২০১৫ সালে এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মো. দিদারুল আলম চৌধুরীর নিজস্ব অর্থায়নে মসজিদটি পুর্ননির্মাণ করা হয়।

পবিত্র ও ঐতিহ্যবাহী স্থানে এ ধরণের আচরণ মেনে নিতে পারছেন না ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ভূজপুর ইউপির বাসিন্দা প্রবাসী আব্দুল্লাহ বিন হক বলেন, ‘হৃদয়ের শান্তি ও পরিতৃপ্তির জন্য নামাজ পড়তে আসেন মসজিদে আসেন অনেকে। তরুণ-তরুণীর এমন আচরণে মসজিদের পবিত্রতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভিডিওটি ধারণকারী তরুণ-তরুণীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত।’

উত্তর ফটিকছড়ির আলেম মুফতি হাবিবুল্লাহ আজিজি বলেন, ‘পবিত্র মসজিদের সামনে এমন বেয়াদবি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

Manual5 Ad Code

স্থানীয় বাসিন্দা মো.আলা উদ্দিন বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী মোগল আমলের এ মসজিদ দেখতে প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। মসজিদের সামনে এমন নাচ-গান ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীর আঘাত করেছে।’

Manual2 Ad Code

হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসে। কিন্তু সবাই বুঝতে পারছে না কে কি করছে। এটি একটি পবিত্র স্থান। তাই এর সম্মান রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’

ভূজপুর থানার ওসি মো. মাহবুবুল হক বলেন, ‘বিষয়টি প্রথম ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের নজরে আসে। অনেকেই বিষয়টি অবহিত করেছেন। তবে তরুণ-তরুণীদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code