প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

জুলাই আন্দোলনে শহিদ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেমদের তালিকা প্রকাশ

editor
প্রকাশিত মার্চ ১১, ২০২৫, ০৭:০১ পূর্বাহ্ণ
জুলাই আন্দোলনে শহিদ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেমদের তালিকা প্রকাশ

Manual8 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারি বাহিনী ও আওয়ামী বাহিনীর গুলিতে শহিদ হওয়া মাদরাসা শিক্ষার্থী ও আলেমদের (কওমি-আলিয়া) বিস্তারিত তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাইয়ের পর এ তালিকা প্রকাশ করেছে সিএসএস ফাউন্ডেশন।
সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪২ জন শহিদের নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক শহিদের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যথাযথ যাচাইয়ের পর তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

Manual7 Ad Code

তালিকার গ্রহণযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ১৪টি আবশ্যিক তথ্য ও ৫টি যাচাইকরণ নথির ভিত্তিতে যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। যাচাইকরণ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হওয়ায় কিছু শহিদের নাম এখনও অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি, তবে গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গুরুত্বপূর্ণ অনুসন্ধান ও তালিকাকরণ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন আলেম সাংবাদিক মিরাজ রহমান ও সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর, যারা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তালিকা প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি কুষ্টিয়ার তরুণ গবেষক যুবাইর ইসহাক ও তার কয়েকজন সহকর্মী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সিএসএস ফাউন্ডেশন, যা ভবিষ্যতেও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট গবেষণা ও নীতিনির্ধারণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে ‘সাধারণ আলেম সমাজ’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

Manual1 Ad Code

সিএসএস ফাউন্ডেশন তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই তালিকা প্রকাশ করেছে।

Manual7 Ad Code

গবেষণাকর্মের অন্যতম সমন্বয়ক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর জানান, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে আলেম-উলামাদের ওপর চালানো নির্মম হত্যাযজ্ঞের কোনো লিখিত ও প্রামাণ্য নথি সংরক্ষিত না থাকায় ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই তথ্যঘাটতি পূরণ ও ন্যায়বিচারের দাবিকে সুদৃঢ় করতে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পরপরই শহিদ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের তালিকা সংকলনের কাজ শুরু হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই তালিকা ভবিষ্যতে ইতিহাস সংরক্ষণ, গণহত্যার স্বীকৃতি নিশ্চিতকরণ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code