প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণ

editor
প্রকাশিত জুলাই ৬, ২০২৫, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ণ
সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণ

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় দুই বছর বয়সী ছেলের গলায় চাকু ধরে তার মাকে, অর্থাৎ এক নারীকে (২৮) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার তিন মাইল শুরিভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন শনিবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার জগদল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর বিকেলে ওই নারী বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

Manual8 Ad Code

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের জগদল বাজার এলাকার জনি ইসলাম (২৭), বিপ্লব হোসেন (২৫), মকছেদুল ইসলাম (৩৩) এবং অমরখানা ইউনিয়নের বদিনাজোত এলাকার সাদেকুল ইসলাম (২৮)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নে জুটমিল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ওই নারী। শুক্রবার রাতে জুটমিল থেকে ইজি বাইকে করে অসুস্থ দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নে বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের তিনমাইল শুরিভিটা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে তার ফুফাতো ভাই খয়রুল ইসলাম তাকে ডাকে।

ওই নারী তার ডাকে ইজি বাইক থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই খয়রুলের ভ্যানে থাকা ৫-৬ জন মুখ চেপে পাশের একটি নিরিবিলি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা তার দুই দুই বছরের ছেলের গলায় চাকু ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই নারী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে সড়কের পাশে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে শিশুটির কান্নার শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল করে।

শুক্রবার রাত ১টার দিকে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওই নারী বলেন, ‘আমার ছোট্ট ছেলের গলায় চাকু ধরেছিল তারা। তখন আমি নিরূপায় হয়ে পড়ি। চিৎকার করতে চাইলে আমাকে তারা ভয়-ভীতি দেখায়। তারা আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

Manual1 Ad Code

চারজন পরিচিত আর দুজন অপরিচিত। আমি ধর্ষণের শিকার হলাম অথচ আমাকে আপসের জন্য লোকজন চাপ দিচ্ছে। আমার ফুফাতো ভাই খয়রুলের সহযোগিতায় তারা আমার ওপর পাশবিক নির্যাতন করেছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

Manual6 Ad Code

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবুল কাশেম বলেন, ‘রাতে পুলিশ অচেতন অবস্থায় এক নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষার পর জানা যাবে। আপাতত তিনি শারীরিকভাবে স্থিতিশীল আছেন।’

Manual3 Ad Code

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশের একটি দল যায়। সেখানে অচেতন অবস্থায় ওই নারী এবং তার সঙ্গে থাকা দুই বছরের শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নারীর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি ধর্ষণের কথা কথা জানান। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code