প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ইনজুরি নিয়েই মাঠে নেইমার, গোল-অ্যাসিস্টে জয় পেল সান্তোস

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ২৯, ২০২৫, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ণ
ইনজুরি নিয়েই মাঠে নেইমার, গোল-অ্যাসিস্টে জয় পেল সান্তোস

Manual5 Ad Code

স্পোর্টস ডেস্ক:
সান্তোসের মেডিকেল টিম সাফ জানিয়ে দিয়েছিল—এ অবস্থায় মাঠে নামা যাবে না। তবু সব সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ইনজুরি নিয়েই খেলতে নামলেন নেইমার। শুধু নামাই নয়, পুরো ৯০ মিনিট দাপিয়ে খেলে গোল ও অ্যাসিস্টে দলকে টেনে তুললেন অবনমন অঞ্চলের দুঃস্বপ্ন থেকে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে ব্রাজিলিয়ান লিগে স্পোর্তকে ৩–০ ব্যবধানে হারায় সান্তোস। ঘরের মাঠে এ জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে নেইমার।

গত ২০ নভেম্বর মিরাসোলের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ের হাঁটুর পুরনো মেনিস্কাস ইনজুরির ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। অস্ত্রোপচার করালে মৌসুম শেষ হয়ে যেত—এটা জানার পরও সে পথ নেননি ৩৩ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বারবার ইনজুরিতে ভোগা নেইমার এবার ঠিক করলেন ঝুঁকি নেবেন, খেলবেন।

Manual7 Ad Code

ইএসপিএন ব্রাজিল জানায়, সান্তোসের চিকিৎসকরা তার মাঠে নামার বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু ইন্টারন্যাসিওনালের বিপক্ষে ডাগআউট থেকে দলের পয়েন্ট খোয়ানোর দৃশ্য দেখার পর পরিস্থিতি আর সহ্য করতে পারেননি নেইমার। দল তখন অবনমন জোনে। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার তাগিদও যে আছে, তাও অস্বীকার করার উপায় নেই।

Manual7 Ad Code

অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত—ইনজুরি নিয়েই মাঠে নামলেন নেইমার। শুরু থেকেই আক্রমণে ধরে রাখলেন স্পোর্ত রক্ষণভাগকে। ১২ মিনিটে তাঁর দারুণ পাস থেকেও গোলের দেখা পায়নি সান্তোস। পাঁচ মিনিট পর আবারো রুখে দেন স্পোর্ত গোলরক্ষক। কিন্তু ২৫ মিনিটে আর থামতে পারেননি নেইমার। গিলহের্মের পাস বক্সে নিয়েই চার ডিফেন্ডার ঘুরিয়ে লক্ষ্যে পাঠান জোরালো শট—সান্তোস পায় লিড।

৩৪ মিনিটে তাঁর নিখুঁত কোণাকুণি শট ঠেকিয়ে দেন স্পোর্ত গোলরক্ষক। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেদের ভুলে দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে অতিথিরা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও একবার নেইমারের শট রুখে দেন গ্যাব্রিয়েল।

Manual4 Ad Code

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ধরে রাখে সান্তোস। ৬৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে নেইমারের তোলা কর্নার ছয় গজ দূরে পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন জোয়াও শমিদ—৩–০।
৯০তম মিনিটে বদলি হয়ে যান নেইমার। ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত। যোগ করা সময়ে আর কোনো গোল না হলেও সান্তোস ধরে রাখে বড় জয়।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে সান্তোসের ঝুলিতে ৪১ পয়েন্ট। অবনমন অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে তারা। মৌসুমের শেষ দুই ম্যাচ জুভেনতুদে ও ক্রুইজেরোর বিপক্ষে—রেলিগেশন এড়াতে লড়াই এখনও বাকি।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code