স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মহানগরীতে জুয়া ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে জালালাবাদ থানাধীন বাদাঘাট তেমুখি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৯জন জুয়াড়ি ও মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কোতোয়ালী থানাধীন রিকাবীবাজারস্থ ফুলকলির সামনে অভিযান পরিচালনা করে অনলাইন জুয়া খেলার দায়ে ২জনকে আটক করে। পৃথক দুইটি অভিযানে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও জালালাবাদ থানা পুলিশ মোট ১১ জন জুয়াড়িকে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে জালালাবাদ থানাধীন নাজিরেরগাঁও পয়েন্টস্থ বাদাঘাট তেমুখি রাস্তার পাশে ওয়ারিছ মিয়ার মার্কেটের মেসার্স সোলেমান নামীয় দোকানের ভেতরে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জুয়া খেলারত অবস্থায় ৯ জন জুয়াড়িকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন চাতলীবন্দ এলাকার মৃত হাসেম আলীর ছেলে আব্দুর রব (৪৫), মৃত আনিচ আলীর ছেলে আব্দুর কাহির (৪৫), নাজিরেরগাঁও মৃত হারিচের ছেলে আব্দুল লতিব (৪০), মৃত আসিদ আলীর ছেলে হারিচ মিয়া (৪৫), মৃত আঃ মতলেব’র ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৫৫), মৃত মুক্তাদীরের ছেলে রকিব উদ্দীন (৩৮), জালালাবাদ থানাধীন কুমারগাঁও এলাকার মৃত আছর উদ্দীনের ছেলে মোঃ তোফাজ্জল (৪৫), নয়াখুরুমখোলা এলাকার লালু মিয়ার ছেলে আমীর আব্দুর শহীদ (৪০) ও টুকেরগাঁও এলাকার মৃত ছালাক মিয়ার ছেলে ফাজিল আহম্মদ (৪৫)। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানার নন-এফআইআর নং-১৩২/২৫, তারিখ- ১৬/১২/২০২৫ খ্রিঃ, এসএমপি অ্যাক্টের ৯৫ ধারায় মামলা রুজু করে আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কোতোয়ালী থানাধীন রিকাবীবাজারস্থ ফুলকলির সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে অনলাইন জুয়া খেলার সময় দুইজন জুয়াড়িকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন- সিলেটের কোতোয়ালী থানাধীন মোকামবাড়ি ঘাসিটুলা এলাকার ফরিক মিয়ার ছেলে জিসান আহমেদ (১৯) ও বিয়ানীবাজার থানার উজানঢাকি এলাকার আব্দুল হেকিমের ছেলে ফারুক হোসেন (৫৯)। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীতে জুয়া ও অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক অপরাধ দমনে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’
Sharing is caring!