প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৮শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ে পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে অচিরেই

editor
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:৪৮ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজারের চারখাইয়ে পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে অচিরেই

Manual4 Ad Code

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

পুলিশের দাপ্তরিক কার্যক্রম আরও দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সারাদেশে ১৪০টি নতুন থানা ও ফাঁড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় বিয়ানীবাজারের চারখাই পুলিশ ফাঁড়ির নামও রয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। চারখাইয়ে ফাঁড়ির জন্য আট হাজার ৪শ বর্গফুটের দোতলা ভবন প্রস্তাব করা হয়েছে।

Manual5 Ad Code

 

সূত্র আরো জানায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পে দোতলা পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণ বাবদ বর্গফুটপ্রতি খরচ ৫ হাজার ২২১ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন হলে ২০২৮ সালের জুনের মধ্যে চারখাইয়ের পুলিশ ফাঁড়ি প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পুলিশের থানা-ফাঁড়ি অধিকাংশই ভাড়া বাড়িতে অথবা জরাজীর্ণ ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। এতে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এই সমস্যার সমাধানে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে ফাঁড়ি তদন্তকেন্দ্র, ক্যাম্প, নৌ-পুলিশ কেন্দ্র, রেলওয়ে পুলিশ থানা ও আউটপোস্ট, ট্যুরিস্ট পুলিশ সেন্টার এবং হাইওয়ে পুলিশের জন্য থানা/আউটপোস্ট নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

 

গত প্রায় এক যুগ ধরে বিয়ানীবাজারের চারখাই ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে চলছে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম। এতে ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম যেমন ব্যাহত হচ্ছে ঠিক তেমনি পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রমে দেখা দিচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতা। দুই প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা। এ ভোগান্তি দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে।

 

Manual8 Ad Code

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চারখাই-জকিগঞ্জ সড়কের উত্তরপাশে চারখাই বাজারের লাগোয়া এলাকাজুড়ে চারখাই ইউপি কার্যালয় অবস্থিত। চারখাই বাজারে ত্রিমোহনীতে অস্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের কয়েক মাস পর পর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের একটি অংশে স্থানান্তর করা হয়। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে ফাঁড়ির কার্যক্রম অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়নি। বর্তমানে ভবনটির চারটি কক্ষে ইউপি ও আটটি কক্ষে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম চলছে। ইউপি কার্যালয়ের চার কক্ষে চেয়ারম্যান, ডিজিটাল সেবা সেন্টার, গ্রাম আদালত ও সচিব বসেন। ইউপি সদস্যদের বসার কোনো স্থান নেই। পুলিশ ফাঁড়ির আটটি কক্ষের মধ্যে একটি কক্ষে ফাঁড়ির ইনচার্জের বসার ও থাকার কক্ষ এবং অন্যগুলোতে পুলিশ সদস্যদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সাথে পুলিশের মামলাধীন বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পরিষদ প্রাঙ্গণে স্তূপ করে রাখার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বরাদ্ধ জনগনের মাঝে বিতরণ করতেও বিভিন্নভাবে বেগ পেতে হচ্ছে।

Manual5 Ad Code

 

চারখাই ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন মুরাদ চৌধুরী বলেন, জনগণ জন্ম, জাতীয়তা, ওয়ারিশ সনদসহ বিভিন্ন সেবা পাওয়ার জন্য কার্যালয়ে আসে। তাদের বসার জন্য স্থান দিতে পারি না। অনলাইন সেবা পেতে সবচেয়ে বেশি লোক কার্যালয়ে আসে।

Manual1 Ad Code

 

ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসীর অভিযোগ, একই ভবনে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ফাঁড়ি ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম এক সাথে চলমান থাকায় স্থানীয় সরকারের সেবা প্রদান কার্যক্রমে নানাভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে প্রায়ই বিচার সালিশের জন্য গ্রাম আদালত বসে। ভিজিডি ও ভিজিএফ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করা হয় ইউনিয়ন পরিষদে। পুলিশ ফাঁড়ির কারণে সেবা পেতে আসা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এসব কারণেই শিগগিরই পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম অন্যত্র স্থানান্তর করার দাবি স্থানীয়দের।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code