স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের খুচরা বাজারে কৌশলী কায়দায় সয়াবিন তেল সরবরাহ করছেন পরিবেশকরা। অতিরিক্ত মূল্যের নিশ্চয়তা পেলেই কেবল তা খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। কোন ধরনের কমিশন ছাড়া মোড়কে লেখা মূল্যে দোকানগুলোতে সয়াবিন তেল সরবরাহ করছেন তারা। এতে বাজারের পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে কমেছে বোতলজাত তেলের সরবরাহ।
আর তুলনামূলক কম তদারকির কারণে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার অন্যান্য এলাকার অনেক মুদি দোকানে মিলছে না রান্নার এ জরুরি উপকরণটি। খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে, রমজানের আগেই দাম বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, সেজন্য ডিলাররা তেল দেওয়া বন্ধ করেছেন। সর্বশেষ ৯ ডিসেম্বর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানো হয়।
পৌরশহরের উত্তরবাজারের মুদি দোকানি শামীম আহমদ বলেন, রোববার সকালে ডিলারের কাছে তেল আনতে গেলে প্রথমে নাই বলে জানানো হয়। পরে মোড়কে লেখা মূল্যে তেল বিক্রিতে রাজি হন ওই ডিলার। অপর ব্যবসায়ী ফজলুর রহমান বলেন, ‘ডিলাররা আমাদের তেল দেয় না। আমরা ডিলারের কাছে বললে তারা বলে, তেল নাই। ডিলার যদি না দিতে পারে তাহলে আমরা কীভাবে পাবো? আর ক্রেতারাও কথা শোনায়। তেলের বোতলে গায়ে যে দাম লেখা সেই দামে তো আমি নিজেই কিনি নাই। ১৫ দিন আগে অর্ডার ও অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছি তেলের জন্য। এখনো তেল হাতে পাই নাই।’
বাজার করতে আসা গৃহিনী হোসনে আরা বলেন বলেন, ‘বিগত কয়েকদিন ধরে তেল নিয়ে তামাশা চলতেছে। দশ দোকান ঘুরলে এক দোকানে তেল পাই। এলাকার দোকানে তো পাই ই না। এভাবে সংসার কিভাবে চলে? তেলের দাম বাড়ার পর মনে করসিলাম আবার আসবে হয়তো। কিন্তু এখনো ১৫দিনের মতো হবে তেল পাই না। খোলা তেল যাও কিছু পাই সেটার দামও অনেক বেশি রাখে।
স্থানীয় বাজারে প্রায় দোকানে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল। তবে কিছু দোকানে বোতলের গায়ের লেখা দামের থেকে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এ নিত্য পণ্য। সরকারের বেধে দেয়া দামের চেয়ে লিটার প্রতি অতিরিক্ত ১৫-২০টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে। এরপরও বাজারে সয়াবিনের কৃত্রিম সংকটের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
Sharing is caring!