প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেলো নববধূ পুরুষ

editor
প্রকাশিত জুলাই ২৬, ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ণ
দেড়মাস সংসার করার পর জানা গেলো নববধূ পুরুষ

Manual4 Ad Code

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:

 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রায় দেড়মাস সংসার করার পর স্ত্রী পুরুষ বলে জানা যায়। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

Manual3 Ad Code

কথিত ওই নববধূর নাম সামিয়া। তার প্রকৃত নাম মো. শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

Manual2 Ad Code

 

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে মাহমুদুল হাসান শান্তর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় সামিয়ার। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর ৭ জুন শান্তর বাড়িতে চলে আসেন সামিয়া। এরপর পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। তখন থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারে বসবাস করতে থাকে তিনি।

সম্প্রতি নানা কারণে শান্ত ও সামিয়ার ব্যবহারে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। শুক্রবার বিকেলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নিশ্চিত হন নববধূ সামিয়া একজন পুরুষ। বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান শান্ত বলেন, ‘ফেসবুকে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ৭ জুন বাড়িতে চলে আসলে মৌলভি এনে আমাদের বিয়ের দেওয়া হয়। সে সময় সামিয়ার জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকায় কাবিন রেজিস্ট্রি হয়নি। বিয়ের পর থেকে তার আচরণ রহস্যজনক ছিল। তার কাছে গেলে বলতো, আমি এখন অসুস্থ। ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছেন। গতকাল (শুক্রবার) তার আসল পরিচয় উন্মোচিত হয়। আজ সকালে তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

Manual4 Ad Code

শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম বলেন, ‘একজন পুরুষ পরিবারে বউ হয়ে এতদিন থাকলেও কেউ টের পাইনি। তার অভিনয়ে কেউ বুঝতে পারিনি সে ছেলে ছিল। সকালে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

মো. শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া মোবাইলে বলেন, ‘শান্তর সঙ্গে যা করেছি সেটা অন্যায় হয়েছে। এটা করা আমার ঠিক হয়নি। তবে আমার হরমোন জাতীয় শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতে ভালো লাগে।’

উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে কেউ আমার কাছে আসেনি। তবে বিষয়টি পরিষদের এক মেম্বরের মুখ থেকে শুনেছি।’

Manual3 Ad Code

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নাই। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code