প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ছাত্রলীগ কর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে মারধর

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ণ
ছাত্রলীগ কর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে মারধর

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে থানায় আশ্রয় নিয়েছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। শনিবার (০৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আবদুল হাফিজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের স্নাতক ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

জুলাইয়ের ছাত্র-আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া, আওয়ামী সরকারের সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে চলাফেরা করা এবং হলের ডাইনিসহ বিভিন্ন দোকানে বাকি খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

থানায় আশ্রয় নেওয়ার আগে সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাদ্দাম হোসেন হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষে তাকে ঘিরে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সহ-সমন্বয়ক তাকে নিরাপদে বের করে দিতে চাইলে হল গেট পার হয়ে শিক্ষার্থীরা তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে দিয়ে মারধর করে ধাওয়া দেয়।

Manual7 Ad Code

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিভাগের রিটেক পরীক্ষায় অংশ নিতে ক্যাম্পাসে আসে হাফিজ। বিকেলের দিকে হলে প্রবেশ করতে নিষেধ করার পরও পাঁচ ছয়জনকে সঙ্গে নিয়ে আবদুল হাফিজ জোরপূর্বক হলে প্রবেশ করেন। সেখানে ৩৩৩ নম্বর কক্ষে অবস্থান করেন তিনি। বিষয়টি শিক্ষার্থীরা জানতে পারলে রুমের সামনে অবস্থান নিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক তাকে নিরাপদে বের করে দিতে চাইলে হল গেটে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাফিজকে জুতার মালা পরিয়ে দেয়। শেষে মারধর করে ধাওয়া দিলে তিনি দৌড়ে থানায় গিয়ে আশ্রয় নেন।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে বাকি টাকা পরিশোধ করার শর্তে তাকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী হাফিজ বলেন, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে এসেছি। কিন্তু এরকম কিছু হবে ভাবিনি। তারা আমাকে অন্য হাফিজ (শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) ভেবেছিল। যে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের মারধর করেছিল। আমি সেই হাফিজ নই। আমি ছাত্রলীগের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম না। আন্দোলনের সময় কাউকে হুমকি দিইনি। আর ডাইনিং ম্যানেজার ও দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেছি। কালকেই আমি টাকা দিয়ে দেব।

Manual8 Ad Code

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক তানভীর মাহমুদ মণ্ডল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে তাকে নিরাপদে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। পরে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে তিনি থানায় আশ্রয় নেন।

Manual1 Ad Code

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ফোন দিলে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আগামী ৭ তারিখের মধ্যে তাকে বাকি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। টাকা পরিশোধ করলে তাকে পরীক্ষা দেওয়া সুযোগ করে দেওয়া হবে।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code