প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

প্রায় এক মাসেও খুলেনি মুনতাহা হত্যার রহস্যজট

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৮, ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ণ
প্রায় এক মাসেও খুলেনি মুনতাহা হত্যার রহস্যজট

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করা সিলেটে আলোচিত ছয় বছরের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যার ২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও খোলেনি হত্যার রহস্যের জট। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চার আসামিকে গ্রেফতারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। প্রধান আসামি শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন বলেও দেননি। বর্তমানে গ্রেফতারকৃত সবাই কারাগারে রয়েছেন।

পুলিশ বলছে- মামলার তদন্ত কাজ চলছে। দুদিন আগে সিআইডির কাছে কিছু আলামত দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান বিষয় নিয়েও আমরা তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রয়োজনে তাদের ফের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে।

চলতি বছরের ৩ নভেম্বর নিখোঁজ হওয়ার সাত দিন পর মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামে মুনতাহার অর্ধগলিত মরদেহ বাড়ির পাশের খাল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ ৯ নভেম্বর কানাইঘাট থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি অপহরণ মামলা করেন। ১১ নভেম্বর মুনতাহা হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চার আসামির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

Manual7 Ad Code

আসামিরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের আলিফজান (৫৫), তার মেয়ে শামীমা বেগম মার্জিয়া (২৫), একই এলাকার ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।

Manual6 Ad Code

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কানাইঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল আরেফিন জিহাদ বলেন, ‘আমরা তদন্ত কাজ করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আসামিও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়নি। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করছে পুলিশ আন্তরিক হয়ে কাজ করছে।’

Manual6 Ad Code

এদিকে লাশ উদ্ধারের পরই পুলিশের ধারণা করে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা অপহরণ করে হত্যা করেছে। প্রতিবেশি ও মুনতাহার শিক্ষক মারজিয়াকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া মারজিয়ার উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ তারিখ রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code