প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধন শুরু সোমবার

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধন শুরু সোমবার

Manual4 Ad Code

ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু উপলক্ষে বিয়ানীবাজারে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের একাংশ/

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

বিয়ানীবাজারসহ সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার (২০ জানুয়ারি)। চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই দুই সপ্তাহ বিয়ানীবাজারে নতুন ভোটার নিবন্ধনের লক্ষ্যে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবেন মাঠ কর্মীরা

 

Manual7 Ad Code

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিশেষ দিবসের ছুটি ব্যতীত সাধারণ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও নিবন্ধন এবং তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান থাকবে। ইতোমধ্যে মাঠ কর্মীদের সার্বিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে।

 

 

২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই সপ্তাহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলবে জানিয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়।

 

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম কিংবা যারা আগের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

 

এসময় নতুন ও বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও বিদ্যমান তালিকা থেকে মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার জন্যও বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেওয়া হবে।

 

তথ্য সংগ্রহের পর ভোটারদের বায়োমেট্রিক গ্রহণসহ নিবন্ধন প্রক্রিয়া পার্শ্ববর্তী নিবন্ধন কেন্দ্রে সম্পন্ন করা হবে। স্থানীয় স্কুল, কলেজ বা মাদ্রাসায় এই বায়োমেট্রিক সংগ্রহের কাজ করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।

 

এদিকে, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থান্তান্তরের আবেদন নেওয়া হবে। একই সময়ে মৃতদের নাম বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটারের তথ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।

 

এর আগে, গত ২ জানুয়ারি চলতি বছরের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। এতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জনের নাম। সবশেষ গতবছর ২ মার্চ প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ভোটার ছিলেন ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি।

 

২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হয়েছেন, এ বছরের হালনাগাদে তারা তালিকায় যুক্ত হলেন। নতুন ভোটারদের নিয়ে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন।

 

Manual2 Ad Code

এদিকে, ভোটার হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে ১৬টি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-

১। পহেলা জানুয়ারি ২০০৮ বা তার পূর্বে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করা।

২। তথ্য সংগ্রহকালে কোনো ব্যক্তির তথ্য ফরম পূরণের পূর্বে তিনি ইতঃপূর্বে ভোটার হয়েছেন কি না তা অবশ্যই নিশ্চিত করা।

৩। বাদ পড়া ভোটারদের ক্ষেত্রে বাদ পড়ার কারণ যাচাইপূর্বক নিশ্চিত হওয়া।

৪। কোনো ব্যক্তির নামের আগে বা পরে কোন পেশা, খেতাব, পদবি, অর্জিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি সংযুক্ত না করা।

Manual7 Ad Code

৫। ভোটারযোগ্য ব্যক্তির বাংলা নামের ইংরেজি বানান যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা।

৬। বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার সময় ভোটারযোগ্য অনুপস্থিত ব্যক্তিদের তথ্যাদি অবশ্যই রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

৭। নিবন্ধন কেন্দ্রে আসার জন্য নিবন্ধন স্লিপ (ফরম-৫) ফরম পূরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রদান করা।

৮। সুপারভাইজার কর্তৃক তথ্যসংগ্রহকারীদের প্রতিদিনের তথ্য সংগ্রহের কাজ তদারকি ও নমুনা যাচাই করা।

Manual3 Ad Code

৯। সুপারভাইজাররা তথ্য সংগ্রহকারীর পূরণকৃত ফরমের কিছু অংশ দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুদ্ধতা যাচাই এবং কোনো ভুল ধরা পড়লে তা শুদ্ধ করা।

১০। ভোটারযোগ্য মহিলাদের নিবন্ধনের বিষয়টি অবশ্যই নিশ্চিত করা। কোনো ক্রমেই ভোটারযোগ্য মহিলারা যেন বাদ না পড়েন তা তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার কর্তৃক নিশ্চিত করা।

১১। নিবন্ধন ফরম পূরণকারীদের নিবন্ধন কেন্দ্রে উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করা।

১২। বিশেষ এলাকার জন্য তথ্য ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেওয়া। বিশেষ তথ্য ফরম পূরণের সময় সংশ্লিষ্ট তথ্য যাচাই করে অন্তর্ভুক্ত করা। বিশেষ এলাকাসমূহের জন্য নিবন্ধন ফরম-২ এর সঙ্গে বিশেষ তথ্য ফরমও পূরণ করা।

১৩। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ভোটার স্থানান্তরের আবেদন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ ভোটার কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে দাখিল করা।

১৪। মৃত ভোটারের নাম কর্তনের জন্য ফরম-১২ এ তথ্য সংগ্রহকালে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। কোনোক্রমেই জীবিত ভোটারের নাম মৃত হিসেবে যেন তথ্য সংগ্রহ না করা হয় সেজন্য সতর্ক থাকা।

১৫। সুপারভাইজার, তথ্য সংগ্রহকারী ও শনাক্তকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর সুস্পষ্টভাবে লিখা।

১৬। কোনো ক্রমেই রোহিঙ্গা এবং ভিনদেশি ব্যক্তিদের তথ্য যেন সংগৃহীত না হয় সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code