প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

কুলাউড়ায় ইউপি মেম্বারকে মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ২৯, ২০২৫, ০১:৪৯ অপরাহ্ণ
কুলাউড়ায় ইউপি মেম্বারকে মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি

কুলাউড়া প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে সরকারি মাটি ভরাট কাজে বাধা, প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি মেম্বার খাইরুল ইসলাম খসরুকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে ওই ইউপি মেম্বার বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার ও মেম্বারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষক সৈয়দ সিদ্দিক আলী বলেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাদিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জনগণের রায়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন খসরু। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তিনি ওয়ার্ডের উন্নয়ন ও আইনশৃঙ্খলা সুন্দর রাখতে নিরলসভাবে কাজ করেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল তার সাফল্য দেখে তাকে হেয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সরকারিভাবে কাদিপুর ইউনিয়নের আমতৈল থেকে বিলেরপার রাস্তা সংস্কার কাজের জন্য তিনি মাটি ভরাট কাজ শুরু করেন। উক্ত সড়কের পাশে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল বারী মিয়ার কিছু জায়গা রয়েছে। সেই জায়গায় রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য মাটি ফেললে ১৫ এপ্রিল তীরবর্তী বাড়ির কাতার প্রবাসী রুবেজ আহমেদ রুবেলের দ্বিতীয় স্ত্রী দোলা খানম মাটি ভরাটের কাজে ইউপি সদস্য খসরুকে বাধা দেন। খসরু মিয়া বিষয়টি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করলে চেয়ারম্যান নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় দোলা খানম অশ্লীল ভাষায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে গালিগালাজ শুরু করেন। ইউপি সদস্য খসরু এর প্রতিবাদ জানালে দোলা খানম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে খসরু মিয়ার মাথায় আঘাত করেন। এতে খসরুর মাথা ফেটে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দোলা খানম এসব করেন ক্ষান্ত হননি। ২২ এপ্রিল মেম্বারের স্ত্রী রাছনা বেগম এবং বড় ভাই আনোয়ারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মেম্বার পরদিন মৌলভীবাজার আদালতে জামিন আনতে গেলে আদালত তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মেম্বারের বৃদ্ধ পিতা ইসমাইল আলী, কয়ছর মিয়া, ছয়ফুল মিয়া, কামাল মিয়া, খয়রু মিয়া, সারজান আহমদ, লিটন মিয়া, আবু তাহের, বেলায়েত হোসেন, ফয়েজ মিয়া, আজির আহমদ, জুবের আহমদ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

এ ব্যাপারে জমির মালিক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল বারী সাধন মুঠোফোনে জানান, মেম্বারকে ওই মহিলা বাধা তার কোনো এখতিয়ার নেই। আমি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারকে জনস্বার্থে আমার জমির মাটি নেওয়ার অনুমতি দিয়েছি।

Sharing is caring!