প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে রাজসাক্ষী ও সাবেক আইজিপি মামুনকে

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৩, ২০২৫, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ণ
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে রাজসাক্ষী ও সাবেক আইজিপি মামুনকে

Manual8 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। এই মামলায় পলাতক রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সকাল ৯টার পর কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবেন।

Manual8 Ad Code

বছরখানেক ধরে কারাগারে থাকা মামুন ট্রাইব্যুনালে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তার শাস্তির বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়েছে।

মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর জেরা শেষে গত ২৩ অক্টোবর সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নেতার বিচারের উদাহরণ তুলে ধরেন। পরে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রনিযুক্ত ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেনও পাল্টা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানিয়েছে, আজ রায়ের তারিখ ঘোষণা হলেও পূর্ণাঙ্গ রায় আগামী সপ্তাহের যেকোনো দিন প্রকাশ হতে পারে।

Manual3 Ad Code

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ৩ আগস্ট। প্রথম সাক্ষী খোকন চন্দ্র বর্মণ ট্রাইব্যুনালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ‘বীভৎসতা’র চিত্র তুলে ধরেন। ৮ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন, উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো।

Manual2 Ad Code

মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। মোট ৮৪ জন সাক্ষীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত ১২ মে তদন্ত সংস্থা চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code