প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পাকিস্তানকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো প্রোটিয়ারা

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ণ
পাকিস্তানকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো প্রোটিয়ারা

Manual4 Ad Code

স্পোর্টস ডেস্ক:
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য প্রথম ম্যাচেও জয়ের কাছাকাছি গিয়ে ১১ রানে হারতে হয় পাকিস্তানকে। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মধ্যদিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো প্রোটিয়ারা।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সাইম আইয়ুবের তাণ্ডবে ২০৬ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ভান ডার ডুসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

Manual3 Ad Code

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬ রান জমা হতেই রায়ান রিকেলটনকে হারায় প্রোটিয়ারা। জাহানদাদ খানের বল খেলতে গিয়ে উইকেটকিপার রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।

Manual2 Ad Code

পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার আগে আরও একবার প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন পাকিস্তানের এই বোলার। দলীয় ২৮ রানে এবার তিনি শিকার করেন ম্যাথিউ ব্রিটজকেকে। ১০ বলে ১২ রান করে শাহীন আফ্রিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

২৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। তবে সেই চাপ সামলে ওঠেন রিজা হেনড্রিক্স ও রাসি ভান ডার ডুসেন। পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধোনা করে তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। অবশেষে ১১৭ রানে থামেন তিনি। আব্বাস আফ্রিদিরি স্লোয়ারে বাউন্ডারির কাছে ইরপানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। ৬৩ বলে ৭ চার ও ১০টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন হেনড্রিক্স।

Manual1 Ad Code

এরপর হেনরিখ ক্লাসেনকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ভান ডার ডুসেন। ৩৮ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটার। অন্যদিকে ৫ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন ক্লাসেন। পাকিস্তানের হয়ে জাহানদাদ খান দুটি ও আব্বাস আফ্রিদি নেন একটি উইকেট।

টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের শুরুটাও খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় ১৬ রানের মাথায় অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারায় তারা। এরপর সাইম আইয়ুবের সঙ্গে ৪৫ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন বাবর। ২০ বলে ৩১ রান করে বাবর আজম ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে প্রোটিয়া বোলারদের একাই শাসন করতে থাকেন সাইম আইয়ুব।

উসমান খান টিকতে পেরেছিলেন মাত্র ৫ বল। ৩ রান করে তিনি ফেরেন দাইয়ান গালিমের বলে মাফাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে। তায়াব তাহির ফেরেন ৬ রান করে। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাইম আইয়ুবের সঙ্গে যোগ দেন ইরফান খান। তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৭৩ রান।

১৬ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইরফান। আব্বাস আফ্রিদি ৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাইম আইয়ুব। দুই রানের জন্য তার সেঞ্চরি মিস হয়। দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে দাইয়ান গালিম ও বার্টমান নেন দুটি করে উইকেট। জর্জ লিন্ডে নেন এক উইকেট।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code