
খেলা ডেস্ক:
৪ ম্যাচে ২৬৩ রান, যা টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরি করছেন ২টি, বল হাতে উইকেট ৩টি। এমন পারফরম্যান্সে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রাচিন রবীন্দ্র হয়েছেন টুর্নামেন্ট–সেরা। পরিসংখ্যান দারুণ, সঙ্গে আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাটিং করেছেন—সব মিলিয়ে তাঁর সিরিজসেরা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা মতো কিছু ছিল না।
তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার মনে করছেন, ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীই টুর্নামেন্ট–সেরা খেলোয়াড়।
বরুণ টুর্নামেন্টে ম্যাচ খেলেছেন মাত্র ৩টি। তাতেই ৯ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই রহস্য স্পিনার। শুরুর দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ না পাওয়া বরুণ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই নেন ৫ উইকেট, এটি ছিল তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচ।
সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বরুণ নেন ২ উইকেট, যার একটি আবার ট্রাভিস হেডের। এরপর ফাইনালে আবারও জ্বলে ওঠেন বরুণ। ৭.৫ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৫৭ রান তোলা নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কাটা দেন এই স্পিনার। এরপর গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেল বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করলে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে ফিলিপসকে বোল্ড করেন বরুণ। এমন ইমপ্যাক্টের কারণেই বরুণকে টুর্নামেন্ট–সেরা হিসেবে দেখতে চেয়েছেন অশ্বিন।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেছেন, ‘আমার দৃষ্টিতে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। ও পুরো টুর্নামেন্ট খেলেনি, কিন্তু বরুণের প্রভাব ছিল বেশি। যদি বরুণ চক্রবর্তী না থাকত, তাহলে এই ম্যাচটি সম্পূর্ণ ভিন্ন হতে পারত। বরুণ দলের “এক্স-ফ্যাক্টর”, ওর মাধ্যমে দলে নতুনত্ব এসেছে। যদি আমি বিচারক হতাম, তাহলে আমি এই পুরস্কার বরুণকেই দিতাম। ও বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
অশ্বিন ফিলিপসকে আউট করার প্রসঙ্গও টেনেছেন, ‘দেখুন, কীভাবে বরুণ গ্লেন ফিলিপসকে আউট করল। ফিলিপস স্টাম্প কাভার করে খেলছিলেন না, তাই বরুণ ক্রিজের বাইরে থেকে গুগলি বল করল। আমার মতে, বরুণেরই সিরিজসেরার পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। এই পুরস্কার সেই খেলোয়াড়ের হাতে তুলে দেওয়া উচিত, যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য তৈরি করেছে। বরুণ চক্রবর্তীরই প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হওয়া উচিত।’
গত ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন অশ্বিন। এখন আগের চেয়ে এখন আরও বেশি নিজের চ্যানেলে সময় দেন অশ্বিন। ক্রিকেটের প্রায় প্রতিটি ঘটনা নিয়েই নিজের মত তুলে ধরেন।
Sharing is caring!