প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বড়লেখায় মানব পাচার মামলার আসামি সাবেক ইউপি সদস্য নবাব র‌্যাবের খাঁচায়

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
বড়লেখায় মানব পাচার মামলার আসামি সাবেক ইউপি সদস্য নবাব র‌্যাবের খাঁচায়

Manual2 Ad Code

বড়লেখা সংবাদদাতা:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুই যুবককে ভারতে পাচারের অভিযোগে মানবপাচার আইনে করা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সরফ উদ্দিন নবাবকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৯। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ডিমাই বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে নবাবকে বড়লেখা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে র‌্যাব। রোববার দুপুরে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

Manual2 Ad Code

র‌্যাব ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধৃত আসামি সরফ উদ্দিন নবাব ও তার সহযোগিরা বড়লেখা উপজেলার ডিমাই গ্রামের আব্দুল কাদির ও গিয়াস উদ্দিনকে ভারতে পাচার করে সেখানে তাদেরকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল কাদিরের মা নেছা বেগম বাদি হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মানবপাচার আইনে থানায় মামলা করেন। এই মামলার আসামি আব্দুল মালিক ও রুবেল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ কারাগারে পাঠায়। মামলার আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-৯ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করে। অবশেষে র‌্যাব-৯ এর একটি অভিযানিক দল শনিবার রাতে ওই মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সরফ উদ্দিন নবাবকে উপজেলার ডিমাই বাজার থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

Manual6 Ad Code

র‌্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, মানবপাচার মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সরফ উদ্দিন নবাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ধৃত আসামিকে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাবের চলমান গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Manual5 Ad Code

বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার রোববার বিকেলে বলেন, মানবপাচার আইনে এক নারীর করা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সরফ উদ্দিন নবাবকে র‌্যাব-৯ গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। তাকে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code