প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের সেনারা, আগ্রহ নেই যুদ্ধে

editor
প্রকাশিত জুন ১৯, ২০২৫, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ণ
ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের সেনারা, আগ্রহ নেই যুদ্ধে

Manual7 Ad Code

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

Manual8 Ad Code

ইরানের জন্য বড় সুখবর। ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ইসরায়েলের অনেক সেনা। আগ্রহ হারাচ্ছেন যুদ্ধের প্রতি। একদিকে দীর্ঘদিন ধরে গাজা, অন্যদিকে তেহরান—দুই মোর্চায় যুদ্ধ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ধীরে ধীরে শেষের পথে অস্ত্রের ভান্ডার।

Manual1 Ad Code

ফিলিস্তিনের গাজার সঙ্গে যুদ্ধ তো চলছিলই। তাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করতে করতে কখন যে নিজেরাই গর্তের কিনারায় এসে পৌছেছে, তা টেরই পায়নি ইসরায়েলি বাহিনী। এর ওপর নতুন করে চলা ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে মরার ওপর খাড়া ঘায়ের দশা তাদের। দিনরাত রকেট আর ড্রোন প্রতিহত করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

এরই মধ্যে নতুন ফ্রন্ট খুলেছে ইরান। তেহরান সরাসরি ইসরায়েলের ভেতরে হামলা চালাচ্ছে— ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, এবং সাইবার আক্রমণের নতুন মাত্রা এনেছে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে। ফলে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ চালাতে গিয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এখন ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। ঘন ঘন মোতায়েন, কম ছুটি, মানসিক চাপ— সবকিছু মিলিয়ে সৈন্যদের মনোবলেও প্রভাব পড়েছে।

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন— এত দীর্ঘ মেয়াদে, এত বেশি ফ্রন্টে যুদ্ধ ইসরায়েলের জন্য নজিরবিহীন। এটি একধরনের ওভারস্ট্রেইনড মিলিটারি এঙ্গেইজমেন্ট বলেও আখ্যা দিচ্ছেন তারা। সরকারি মহলে এখন প্রশ্ন উঠেছে— কীভাবে এই দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা যাবে? অস্ত্র মজুত কমছে, রিজার্ভ বাহিনী ক্লান্ত, আর জনসমর্থনেও দেখা দিচ্ছে ভাটা।

Manual4 Ad Code

এক সময় যে ইসরায়েল ছিল মধ্যপ্রাচ্যের ভয়ঙ্কর সামরিক শক্তি— ইরানের এক ধাক্কায় এখন সেই বাহিনীই যেন দৌড়াচ্ছে কচ্ছপের মত ধীর গতিতে। গাজার ছাই আর ইরানের আগুনে পুড়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলের যোদ্ধারা।

দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সৈন্যরা ছুটি ছাড়া ঘাটিতে ও যুদ্ধে অবস্থান করায় মানষিকভাবেও ভেঙে পড়েছে। পরিবার পরিজন ছাড়া একাকিত্বে ভুগছেন তারা। প্রশ্ন উঠেছে- এভাবে যুদ্ধ চললে আর কতদিন ময়দানে টিকতে পারবেন ইসরায়িলি বাহিনী? তবে সেই প্রশ্নে জল ঢেলে দিচ্ছেন তাদের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যুদ্ধ চালিয়ে যেতে মরিয়া তিনি।

Manual3 Ad Code

এদিকে ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র ও রকেট হামলায় একের পর এক হতাহত হচ্ছে ইসায়েলের নাগরিকরা। বারবার নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাদের। স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে না পেরে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন দেশটির জনগণ। রাস্তায় নেমে অনেকই প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কেউ কেউ টিভিতে তার ছবি দেখলেও ভেঙে ফেলছেন টিভিও। তবে তাদের কথায় যেন কান দিচ্ছেন না নেতানিয়াহু। তাই প্রশ্ন উঠেছে- সামরিক বাহিনী কতদিন টিকে থাকবে ক্লান্ত শরীর ও মানষিক বিষাদ নিয়ে?

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code