প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অবনতি

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ণ
বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অবনতি

Manual6 Ad Code

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

 

Manual2 Ad Code

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে আগের বছরের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশের তিন ধাপ অবনতি হয়েছে। এর পরও বাংলাদেশ গত ২৩ বছরে ক্ষুধা মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বা বেশি উন্নতি করেছে শ্রীলঙ্কা। এর পরের স্থান নেপালের। দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) বা বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক ২০২৪ শীর্ষক বার্ষিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। গত শুক্রবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানভিত্তিক ভেল্ট হাঙ্গার হিলফে যৌথভাবে প্রতিবেদনটিতে জিএইচআই সূচক প্রকাশ করে।

ক্ষুধা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সক্ষমতার এ সূচকে জরিপের আওতায় নিয়ে আসা ১২৭টি দেশের মধ্যে এবার বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম। অর্জিত মূল্যায়ন পয়েন্ট বা স্কোর ১৯ দশমিক ৪। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৯। সে বছর ১২৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১তম।

Manual5 Ad Code

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক বা জিএইচআই স্কোরিং বা মূল্যায়নে একটি দেশে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হারকে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই সূচকে কোনো দেশের স্কোর শূন্য হলে সেখানে ক্ষুধার্ত কেউ নেই বুঝতে হবে। আর স্কোর ১০০ হওয়ার অর্থ, সেখানে ক্ষুধার মাত্রা উচ্চ। সূচকে স্কোর ১০ থেকে ১৯ দশমিক ৯-এর মধ্যে থাকলে ওই দেশে ‘মাঝারি মাত্রা’র ক্ষুধার ঝুঁকি রয়েছে বলে বিবেচিত হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশ এখনো মাঝারি মাত্রার ঝুঁকিতে আছে। তবে ক্ষুধা মেটানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ধারাবাহিক উন্নতি করে আসছিল। ২০০০ সালে এ দেশের স্কোর ছিল ৩৩ দশমিক ৮। তা কমতে কমতে গত বছর উন্নীত হয় ১৯-এ। কিন্তু আবার সামান্য বেড়ে স্কোর ১৯ দশমিক ৪ হয়েছে।

বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। সূচকে দেশটির অবস্থান ৫৬তম এবং স্কোর ১১ দশমিক ৩। এর পরের অবস্থানে আছে নেপাল। সূচকে দেশটির অবস্থান ৬৮তম। স্কোর ১৪ দশমিক ৭। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। সূচকে ভারতের অবস্থান ১০৫তম। স্কোর ২৭ দশমিক ৩। আর এ সূচকে পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯তম। অর্জিত স্কোর ২৭ দশমিক ৯। এ ছাড়া আফগানিস্তানের অবস্থান ১১৬তম। স্কোর ৩০ দশমিক ৮।

Manual7 Ad Code

এ বছর জিএইচআই প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় সার্বিকভাবে ক্ষুধা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েছে। নিম্নমানের খাদ্য, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কারণে এ অঞ্চলে অপুষ্টি বাড়ছে। শিশুদের অপুষ্টির সমস্যা এখনো উচ্চস্তরে রয়ে গেছে।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code