প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রাতে ঐশ্বরিয়ার ফ্ল্যাটে সালমান, ঝাঁপ দিতে চেয়েছিলেন ১৭ তলা থেকে

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ণ
রাতে ঐশ্বরিয়ার ফ্ল্যাটে সালমান, ঝাঁপ দিতে চেয়েছিলেন ১৭ তলা থেকে

Manual1 Ad Code

 

বিনোদন ডেস্ক:

বলিউডে চর্চিত বিচ্ছেদগুলির মধ্যে অন্যতম ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও সালমান খানের বিচ্ছেদ। প্রেম শুরু হয়েছিল ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর সেটে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই সেই প্রেম ভেঙে যায়। তিক্তভাবেই শেষ হয় দু’জনের সম্পর্ক।

 

সালমানের বিরুদ্ধে ঐশ্বরিয়াকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। এমনটাও শোনা যায়, রাত তিনটার সময় নাকি ঐশ্বরিয়ার ফ্ল্যাটে গিয়ে ভাঙচুর চালান সালমান। কী ঘটেছিল সেই রাতে? এ নিয়ে পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন খোদ ভাইজান নিজেই।

Manual7 Ad Code

ঘটনার সে সময়ে ঐশ্বরিয়া থাকতেন গোরখ হিল টাওয়ারে। শোনা যায়, মদ্যপ অবস্থায় সেখানেই নাকি পৌঁছে গিয়েছিলেন সালমান খান। ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে তার অশান্তি ছিল চরমে। সালমানও ছিলেন নাছোড়বান্দা। ১৭ তলায় উঠে যেকোনো মূল্যে অভিনেত্রীর রুমে প্রবেশ করতে চান তিনি।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘড়িতে তখন রাত তিনটা। বিল্ডিংয়ে পৌঁছেই নাকি ঐশ্বরিয়ার ফ্ল্যাটে ঢোকার জন্য কাকুতিমিনতি করতে থাকেন অভিনেতা। প্রথমে অবশ্য রাজি হননি ঐশ্বরিয়া। এরপরই ১৭ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার হুমকি দেন সালমান। শুরু হয় তুমুল হট্টগোল।

Manual3 Ad Code

সেই ঘটনার বহু বছর পর এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেন সালমান। স্বীকার করে নেন ঘটনার সত্যতা। তবে অভিনেতা এটাও জানান, যতটুকু ঘটেছে তার চেয়ে একটু বেশিই রটেছে।

 

Manual3 Ad Code

সালমানের ভাষায়, ‘যা রটেছে তা আমি অস্বীকার করছি না। অবশ্যই সেখানে সত্যতা রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু ঘটনা রঙ চড়িয়েও বলা হয়েছে। আমার ওর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কে যদি ঝামেলাই না হয়, তবে সেই সম্পর্কে কোনওদিনই কোনও ভালোবাসা ছিল না। নিজের গাড়ির দরজায় দুমদাম মেরেওছিলাম আমি। পুলিশের তরফেও আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আমি যেন ঐশ্বরিয়ার বাড়ির সামনে না যাই।’

 

নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল সালমান ও ঐশ্বরিয়ার প্রেম। সে সময় সোমি আলির সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সালমান খান। সঞ্জয় লীলা বনশালি পরিচালিত ছবির সেটে প্রথম দেখাতেই রাই-সুন্দরীর প্রেমে পড়েন অভিনেতা। মাত্র চার বছর টিকেছিল তাদের প্রেম।

২০০২ সালে এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়াই প্রথম তাদের বিচ্ছেদের খবর সামনে আনেন। তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদের পরেও ও আমাকে বিরক্ত করত। শারীরিক অত্যাচারও করেছে। সেসব সহ্য করেই হাসিমুখে কাজে যেতে হত আমাকে, যেন কিছুই ঘটেনি।’

বিচ্ছেদের বহু বছর কেটে গেলেও ঐশ্বরিয়া ও সালমানের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়নি আজও। একসঙ্গে ছবি করা তো দূর, আজও কোনো পার্টিতে দেখা হলে কথাও বলেন না তারা।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code