
রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুরে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতা ওই যুবকের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে। রোববার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা একই গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে ঘটনাস্থলে গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ওসিকে একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে মুক্ত করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় ফজলু মিয়া একাই বাস করতেন। এই সুযোগে সকালে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বালুচাপা দিয়ে রাখেন তিনি।
জানা যায়, সকালে উপজেলার বালুয়ামাসিমপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম আট বছরের কন্যাশিশুকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে প্রতিবেশী ফজলু মিয়ার বাড়ির ভেতরে বালুচাপা দিয়ে রাখা শিশুটির মরদেহের খোঁজ পান।
ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা ফজলুকে আটক করে এবং তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে কয়েকটি গাছ কেটে ফেলে। গ্রামের বাসিন্দারা শিশু হত্যার অভিযোগে ফজলু মিয়ার ফাঁসির দাবি জানান।
খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিকসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক ফজলু মিয়াকে হেফাজতে নেয়। এ সময় তিনি গাছ কাটা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্থানীয় লোকজন তাকে ওই বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে মিঠাপুকুরের ইউএনও ও সেনাবাহিনী বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে বালুয়ামাসিমপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাজাহান বলেন, এখন থেকে ১৫ মিনিট আগে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ওসিকে মুক্ত করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সিআইডির একটি দলও ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, স্থানীয় জনতা উত্তেজিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে ঘণ্টাখানেক আগে ওসিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
Sharing is caring!