প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৩শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি

পরকীয়ার জেরে ১০ টুকরো করে হত্যা, দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

editor
প্রকাশিত মে ২৯, ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ণ
পরকীয়ার জেরে ১০ টুকরো করে হত্যা, দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

কোর্ট রিপোর্টার:
ঢাকার কেরানীগঞ্জে পরকীয়া প্রেম ও লেনদেনজনিত বিরোধের জেরে কবিরাজ মফিজ হত্যা মামলায় দুইজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসরাত জাহান মুন্নী এ আদেশ দেন।

মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বিউতা হিন্দুপাড়া গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার লাকী ওরফে হাসিনা (৩৭) ও একই এলাকার মো. আলাউদ্দিনের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (৩৯)।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অন্যদিকে মামলার অপর আসামি নজরুল ইসলাম মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম বলেন, এটি একটি নৃশংস ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। একজন মানুষকে মেরে ১০ টুকরো করা- এটা কোনো সভ্য সমাজের মানুষের কাজ হতে পারে না। হত্যার পর আসামিরা সেই মরদেহ মাগুর মাছকে খাওয়ানোর জন্য একটি খামারে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে মূলত ভিকটিমের খণ্ডিত মরদেহের সাথে তার ছেলের মিল পাওয়া যায়। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কেরানীগঞ্জের তারানগর ইউনিয়নের বিউতা কবরস্থানের সামনের ডোবা থেকে কবিরাজ মফিজের হাত-পা-মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই এস এম মেহেদী হাসান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে ২০১৮ সালের ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার হন আসামি মাকসুদা ও সালাউদ্দিন। পরে জামিন পেয়ে পলাতক হন তারা। পরবর্তীতে একই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা জেলা দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. নাজমুল হাসান। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।

Sharing is caring!