প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

পরিবহনে নতুন রূপে পুরোনো সিন্ডিকেট

editor
প্রকাশিত অক্টোবর ১৫, ২০২৪, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
পরিবহনে নতুন রূপে পুরোনো সিন্ডিকেট

Manual6 Ad Code

 

প্রজন্ম ডেস্ক:

 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অনেকাংশে পাল্টে গেছে রাজধানীসহ সারা দেশের সড়ক খাতের চাঁদাবাজির চিত্র। এমন নয় যে, চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে গেছে। বরং এখন প্রতিটি টার্মিনালেই পুরোনোদের সঙ্গে নিয়ে চলছে নতুন মুখের নেতাকর্মীদের দাপট। তবে তারা যে একেবারে নতুন, তা নয়। বিগত বিএনপি সরকারের সময়ও এই নেতাদের প্রায় সবারই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল পরিবহন সেক্টরে। ১৫ বছরের বিরতির পর আবার ফিরে এসেছে তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা যতটা আশাবাদী হয়েছিলেন, তারা এখন ততটাই হতাশ। বাস্তবে এ খাতে চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে। বরং আরও যেন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরিবহন জগতের চাঁদাবাজিতে নতুন আর পুরোনোরা মিলেমিশেই সক্রিয় রয়েছে। রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও চাঁদাবাজির আধিপত্য আর ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। ফলে সাময়িক বিরতি দিয়ে বাস টার্মিনালগুলোতে আগের মতোই প্রকাশ্য চাঁদাবাজি চলছে।

 

Manual2 Ad Code

বিআরটিএ সূত্র মতে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ প্রায় ৫৮ লাখ নিবন্ধিত যানবাহন রয়েছে। এর মধ্যে বাস-মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ৮২ হাজার। অপরদিকে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ট্যাংক লরির সংখ্যা সোয়া দুই লাখের মতো। পাশাপাশি রয়েছে অন্যান্য ছোট গণপরিবহন। এগুলোকেও নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। শুধু ৩ লাখ বাস, মিনিবাস, ট্রাক আর কাভার্ড ভ্যান থেকেই দিনে অন্তত ৯ কোটি টাকা চাঁদা ওঠে। এর বাইরেও পরিবহন খাতে চলছে হরেকরকম চাঁদাবাজি।

Manual7 Ad Code

 

পরিবহন খাতের সূত্র মতে, সারা দেশে সড়ক পরিবহনে মালিক-শ্রমিকদের ৯৩২টি সংগঠনের মধ্যে ৬৮৬টিই অবৈধ। কেউ জয়েন্ট স্টক কোম্পানি, কেউবা শ্রম অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়েছে। নামসর্বস্ব এসব সংগঠনের কারণেই পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বাড়ছে। এসব আগাছা সংগঠন নিষিদ্ধ করলে পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন মালিক-শ্রমিকদের বৈধ সংগঠনগুলোর নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে আরও জানা যায়, পরিবহন খাতে মালিক শ্রমিকদের যত সংগঠনই থাকুক না কেন, মূলত তাদের নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতি এবং ১৯৯১ সালে ট্রাক, বাস ও বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিকদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। পরিবহন মালিকদের শতকরা ৯২ ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই বলয়ে আছেন অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাও। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের আশীর্বাদপুষ্ট কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি আর গোষ্ঠীর হাতে চলে যায় এই সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ।

Manual3 Ad Code

বিগত ১৫ বছর পরিবহন খাতে চলছিল আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্টদের একচ্ছত্র দাপট। ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১২ থেকে ১৩ আগস্টের মধ্যে সে চিত্র পাল্টে যায় আমূল। আওয়ামী লীগ আশীর্বাদপুষ্টরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় রাজধানীর গাবতলী, সায়েদাবাদ আর মহাখালী বাস টার্মিনালসহ সারা দেশের টার্মিনালগুলোর দখল নেয় বহু বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা আগের সিন্ডিকেটের নেতারা। তবে সাধারণ মালিকরা বলছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুরোনো নেতারা গা ঢাকা দিলেও তারা আসলে নেপথ্য থেকেই এই নতুন মুখদের দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। বলা হয়ে থাকে, আওয়ামী লীগের আগের সিন্ডিকেটও এতদিন কোনো না কোনোভাবে চাঁদার ভাগ পেয়েছেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবহন মালিক জানান, রাজধানীসহ সারা দেশের পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি বিগত সরকারের সময় নিয়ন্ত্রণ করতেন শাজাহান খান, এনায়েত উল্লাহ, মঞ্জুরুল, হীরু, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ফরিদুর রহমান ওরফে ইরান, একেএম শহিদুল হক, ইসমাইল হক, মশিউর রহমান রাঙা, পঙ্কজ নাথ, মাইনুল হোসেন খান ওরফে নিখিল, সাদেকুর রহমান হীরু, নাজিম, মুন্না, রাজু, কামরুল, সুলতান, ওসমান আলী, বেলায়েত, হুমায়ুন কবির, কে কে গ্রুপের কালাম, ছোট মনির, বড় মনির, আনোয়ার মজুমদার প্রমুখ। এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন সাইফুল আলম, আলাউদ্দিন, নাসির, বাতেন, শিমুল, কফিল, সাজু খালেক, আবদুর রহিম বখশ, কাজী শামসুর রহমান, মোতাহার হোসেন, মোখলেছুর রহমানসহ অনেক প্রভাবশালী পরিবহন নেতা। এই সিন্ডিকেটের নেপথ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য রয়েছেন বলে শোনা যায়। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে, নতুন সিন্ডিকেটের সঙ্গে এখনও আছেন আওয়ামী লীগ আমলের প্রভাবশালী নেতা হীরু ও এনায়েত। তারা পলাতক থাকলেও তাদের সহযোগীরা মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নতুনদের সঙ্গে নিয়ে।

Manual5 Ad Code

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন সাইফুল, বাতেন, আলাউদ্দিন, শামিম ও কফিল। তাদের মধ্যে আলাউদ্দিন, শামিম ও কফিল আগে থেকেই ছিলেন। নতুন যোগ হয়েছেন সাইফুল ও বাতেন।

গাবতলী টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করছেন কফিল, আব্বাস, রমেশ, আবু রায়হান, সাইফুল, বাতেন। তাদের মধ্যে কফিল, রমেশ, আবু রায়হান আগে থেকেই ছিলেন। তবে কফিল প্রকাশ্যে না নেমে আড়ালে থেকে তার কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন। বর্তমানে মহাখালী টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করছেন হীরু, মালেক, গিয়াস, শামিম, নীরব, সাইফুল ও বাতেন। হীরু ও মালেক আগে থেকেই ছিলেন। হীরুকে বলা হয় মহাখালী এলাকার গডফাদার। তিনি গত সরকারের সময়ও ছিলেন। এখন নেপথ্যে চলে গেছেন। সায়েদাবাদ টার্মিনালসহ ফুলবাড়িয়া-গুলিস্তান এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছেন কে কে গ্রুপের কালাম, বেলায়েত, রাজু, কালাম, সাইফুল, বাতেন ও বশরের ভাই হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী আলমগীর।

পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উল্লিখিত সিন্ডিকেটগুলো এখন পরিবহনের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন কাজল, সোহরাব, মাহতাব চৌধুরী এবং কফিল ও তার সহযোগীরা। কফিল গাবতলী টার্মিনালের নেপথ্যে থাকলেও সাইফুল আর স্টার আলাউদ্দিনের কারণে পেরে উঠছেন না। ফলে তিনি হাত মিলিয়েছেন মাহতাব-কাজল-সোহরাব বলয়ের সঙ্গে। এই পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কারণেই এখন টার্মিনালগুলোতে বিরাজ করছে উত্তেজনা। দখল-পাল্টা দখলের আশঙ্কায় রয়েছেন পরিবহন মালিকরা।

আরও জানা যায়, পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির দুই নেতা সাইফুল ও বাতেন এবং তাদের নতুন কমিটিকে ঘিরে। সাইফুল একসময় বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) গাড়িচালক ছিলেন, বাতেন ছিলেন জাহাজের খালাসি। পরবর্তী সময়ে পরিবহন ব্যবসায় এসে কুমিল্লায় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সাইফুল। আগের দুই দফা বিএনপির শাসনামলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন তিনি।

এই নতুন কমিটির কার্যকরী সভাপতি খন্দকার রফিকুল হোসেন কাজল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগের নেতারা পালিয়ে যাওয়ায় তারা নতুন করে একটি কমিটি গঠন করেছেন। ইচ্ছা ছিল, পরিবহন চাঁদাবাজি বন্ধ করে পুরো সেক্টরকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনবেন। কিন্তু সাইফুল আর বাতেনের কারণে তারা সেটা করতে পারছেন না। তাদের ঘাড়ে এখনও শাজাহান-এনায়েতের প্রেতাত্মা চেপে আছে। তাদের হটানো না গেলে চাঁদাবাজি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তারা এখন নতুন করে সংস্কারের কথা ভাবছেন বলে জানান কাজল।

তিনি আরও বলেন, মূলত এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কাঠামোগত সমস্যা। ৮০ ভাগ সমস্যা জিইয়ে রেখেছে প্রশাসন। সবার আগে এই কাঠামো থেকে বের হতে হবে। চাঁদা আদায় বন্ধ করা যাবে না। বন্ধ করতে হবে চাঁদাবাজি। সংগঠন চালাতে গেলে যেটুকু দরকার সেটুকুই চাঁদা নিতে হবে। এখন যেটা নেওয়া হচ্ছে সেটার নামই চাঁদাবাজি।

একই কথা বললেন শীর্ষস্থানীয় পরিবহন শ্রমিক নেতা রাসেল খান। তার মতে, হীরু, সাইফুল, বাতেনদের চাঁদাবাজি বন্ধ হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। ফায়দা লুটছেন তারা, আর সব দোষ গিয়ে পড়ছে সাধারণ শ্রমিকদের ওপর। রাসেলের ভাষায়, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও পরিবহন ব্যবসার নেপথ্যে ছিলেন। শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে এই শাজাহান খান-কামাল-হীরু, সিন্ডিকেটকে আগে দূর করতে হবে। পর্দার আড়ালে থেকে এরাই সাইফুল-বাতেনের কাঁধে বসে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে।

পরিবহন নেতা সাইফুল আলম বলেন, তার এবং বাতেনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। তাদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নেই। একটি চক্র ভিন্ন উদ্দেশ্যে এসব রটাচ্ছে। তারা নিজেরাও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে চাঁদা আদায় একেবারে বন্ধ করা সম্ভব নয়। রাস্তায় যেখানে বাস কাউন্টার আছে, যেসব পয়েন্টে যাত্রী ওঠে, সেখানে পরিবহন শ্রমিকদের কিছু খরচ রয়েছে। টার্মিনালের কর্মচারীদের খরচ ছাড়াও নানা খাতের খরচ আছে। এখন দেখতে হবে সেটার জন্য আসলে কতটা প্রয়োজন। এ ছাড়া নামসর্বস্ব কোনো নেতার পরিচয়ে যেন সড়কে যত্রতত্র কেউ টাকা তুলতে না পারে, সেই নজরদারি চলছে। আর টার্মিনাল ও বাস স্টপেজে যে টাকা উঠবে তা যেন সত্যিকার অর্থে বাসচালক ও শ্রমিকদের জন্য ব্যয় হয়, আমরা সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই চাঁদা তোলার বিষয়ে একটা স্পষ্ট জবাবদিহিতা থাকবে। অবশ্য এর জন্য কিছু সময় লাগবে।

সাইফুল এই কথা বললেও ভিন্ন কথা বলছেন তার সঙ্গে থাকা নেতাদের অনেকেই। ওই নেতারা বলেন, শিগগিরই সাইফুল-বাতেনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে স্বচ্ছ কমিটি করা হবে। সিন্ডিকেটের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ এই মালিক সংগঠনের নেতারা। তারা এখন বিক্ষুব্ধ। ফলে বর্তমানে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুই গ্রুপ। টার্মিনালে বিরাজ করছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। যেকোনো সময় দখল-পাল্টা দখল নিয়ে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

মাহবুব আলম নামে একজন পরিবহন মালিক জানান, তারা নানামুখী হয়রানির শিকার। অনেক বাস মালিক সহজে রুট পারমিট বা অনুমোদন না পাওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে গাড়ি চালান। এর জন্য গাড়ি প্রতি রুট ভেদে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা এককালীন চাঁদা দিতে হয় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককে। প্রতিদিন দিতে হয় রুট ভেদে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা। এর বাইরে পথে পথে শ্রমিকদের নানা সংগঠনকে ২০ থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে বনানীতে চেকপোস্ট বসানোর পরও দেখা গেছে, পরিবহন সংঠনগুলো রাজধানীর ভেতরেই অতিরিক্ত যাত্রী ওঠানো এবং যেখানে সেখানে থামানোর অভিযোগ এনে চাঁদাবাজি করছে। এসব চাঁদার কোনো রশিদ দেওয়া হচ্ছে না।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পরিবহন খাতের এই চাঁদার ভাগ পান দলীয় পরিচয়ধারী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী, ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ, বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী, মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরা। গবেষণায় আরও এসেছে, দেশের বড় বড় বাস কোম্পানির প্রায় ৯২ শতাংশ পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন রাজনীতিবিদরা। যাদের ৮০ শতাংশই আবার ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে যুক্ত।

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code