প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজার উপজেলা হাসপাতাল ঘিরে নারী চোর সিন্ডিকেট

editor
প্রকাশিত নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজার উপজেলা হাসপাতাল ঘিরে নারী চোর সিন্ডিকেট

Manual2 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে গত কয়েক মাস থেকে একটি সংগবদ্ধ নারী চোর সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা হাসপাতালের কাছাকাছি পৌরশহরের বিভিন্ন গ্রামে বসবাস করেন। কখনো আবার এই চক্রের সদস্যরা উপজেলার বাইরে থেকেও আসেন। রোগী সেজে ভদ্র পোষাকে তারা হাসপাতালের আবাসিক এবং বহির্বিভাগে অবাধে চলাফেরা করেন। আর এমন বাধাহীন চলাফেরার কারনে এই নারী চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা রোগীদের মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নিচ্ছে। তাদের কবলে পড়ে সহজ-সরল রোগীরা প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

 

Manual6 Ad Code

জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে প্রতি রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে সাধারণ রোগীদের বেশ ভিড় তৈরী হয়। এ সময় রোগীরা গা-ঘেঁষে লাইনে দাঁড়ান। তখনই সুযোগ বুঝে নারী চোর চক্রের সদস্যরা অপর নারীর শরীর থেকে গয়না চুরি করে নেন। এরকম বেশ কয়েকটি ঘটনায় চোর আটক হলেও ভূক্তভোগী কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেননি। হাসপাতালের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি আনসার সদস্যও নিয়োগ দেয়া হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে একটি নারী চোর চক্র সক্রিয় রয়েছে। তারা রোগীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে ধান্দাবাজিতে লিপ্ত হয়। সহজ-সরল নারীদের টার্গেট করে গয়না, মোবাইল ফোন এবং ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রটির প্রধান কাজ।

Manual6 Ad Code

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মনিরুল হক খান বলেন, বহির্বিভাগে প্রচুর রোগী আসেন। অনেকসময় চুরির খবর পাই। তবে ভূক্তভোগীরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হননা। তাছাড়া আমাদের নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবছি।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code