প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

পদ ছাড়ার কারণ জানালেন সারজিস আলম

editor
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ
পদ ছাড়ার কারণ জানালেন সারজিস আলম

Manual8 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন সারজিস। কারণ হিসেবে তিনি জানান, ফাউন্ডেশনের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য সংস্থটির গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন আর ফাউন্ডেশনে সাধারণ সম্পাদকের কোনো পদ নেই।
আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান সারজিস।

Manual2 Ad Code

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আমি নেই। এই ফাউন্ডেশনের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র, কাঠামো ও কাজের প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।’

Manual3 Ad Code

এখন থেকে এক্সিকিউটিভ কমিটি পুরো ফাউন্ডেশনের অফিসের সার্বিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অফিসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বর্তমানে সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ‘গভর্নিং বডি’ ফাউন্ডেশনের নীতিনির্ধারণে (পলিসি মেকিং) কাজ করবে, যেখানে প্রধান উপদেষ্টাসহ চারজন উপদেষ্টা (স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণ, স্থানীয় সরকার ও আইসিটি) রয়েছেন। ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামের কোনো পদ এখন ফাউন্ডেশনে নেই।
গত ২১ অক্টোবর জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সারজিস আলম।

৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ১০ দিন দায়িত্ব পালন করেন। ৭ জানুয়ারি সাইনিং অথরিটি হস্তান্তর হয় এবং অফিশিয়ালি দায়িত্ব শেষ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক।

Manual8 Ad Code

ফেসবুক পোস্টে সারজিস আরো বলেন, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্যারিফাইড ৮২৬ জন শহীদ পরিবারের মধ্যে ৬২৮জনকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ১১ হাজার ভ্যারিফাইড আহতের মধ্যে প্রায় ২ হাজার আহতকে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়।

Manual1 Ad Code

তিনি বলেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমি আমার সর্বোচ্চ সময় ফাউন্ডেশনে দিতে পেরেছি, তত দিন আমি দায়িত্ব পালন করেছি।
যখন মনে হয়েছে, এখন থেকে ফাউন্ডেশনে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া আমার জন্য সম্ভব হবে নয় তখন আমি দায়িত্ব থেকে সরে এসেছি। আমার কাছে নিজের সীমাবদ্ধতা অ্যাড্রেস করা এবং সে অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহন বা ত্যাগ করা কোনো দূর্বলতা নয় বরং এটাতে সৎ সাহস লাগে। আমি চেষ্টা করেছি আমার চেয়ারের দায়িত্বের সাথে সৎ থাকতে।’

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code