প্রকাশনার ১৬ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

ঢাকার বাইরে সিলেটেই প্রথম শিশু হৃদরোগীদের দেহে ডিভাইস

editor
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ণ
ঢাকার বাইরে সিলেটেই প্রথম শিশু হৃদরোগীদের দেহে ডিভাইস

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকার বাইরে এই প্রথম সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটজন শিশু হৃদরোগীর দেহে ডিভাইস বসানো হয়েছে।

দুদিনব্যাপী এ কার্যক্রম শনিবার (৩০ নভেম্বর) ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় কার্ডিওলজি বিভাগের ক্যাথল্যাবে শুরু হয়। রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ কার্যক্রম।

Manual1 Ad Code

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রিজওয়ানা রিমার নেতৃত্বে এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন হয়।

Manual3 Ad Code

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হার্টের জন্মগত অস্বাভাবিক ছিদ্র বন্ধ করা, রক্তনালীর স্বাভাবিকীকরণ তথা এএসডি (অ্যাট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট), ভিএসডি (ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট) এবং পিডিএর (প্যাটেন্ট ডাক্টাস আটারিওসাস) চিকিৎসার জন্য এ ডিভাইস লাগানো হয়। ঢাকার বাইরে এই প্রথম কোনো মেডিকেলে এ ডিভাইস লাগানো হলো।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও লন্ডনের ‘মান্তাদা এইড’ এর যৌথ উদ্যোগে কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই অপারেশন সম্পন্ন করতে ওসমানী হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের এবং শিশু মেডিসিন বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করেছে।

Manual1 Ad Code

কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘ওসমানী মেডিকেলের ক্যাথল্যাবে বড় হৃদরোগীদের সার্জারি করা হচ্ছে। শিশু হৃদরোগীদের জন্য এ কার্যক্রম চালু হাসপাতালের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে।’

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. উমর রাশেদ মুনির বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও লন্ডনের ‘মান্তাদা এইড’ যৌথভাবে এই ডিভাইস বসানো কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের প্রধান ডা. রিজওয়ানা রিমা এই অপারেশনগুলো সম্পন্ন করেন। তার সঙ্গে ১০ জন চিকিৎসকের একটি টিম এসেছে। সবাই ফ্রিতে চিকিৎসা দিয়েছেন। ডিভাইসের খরচ দিয়েছে ‘মান্তাদা এইড’। ওসমানী হাসপাতালের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি আমরা। আটজন শিশুর দেহে ডিভাইস বসানো সম্পন্ন হয়েছে। সবাই ভালো আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার তিনটি হৃদরোগের হাসপাতাল ছাড়া এর আগে দেশের আর কোথাও এই অপারেশন হয়নি। এ ধরনের রোগী আসলে আগে আমরা ঢাকায় রেফার করে দিতাম। যেটা একজন রোগীর পরিবারের জন্য অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে আমরা যদি এই কার্যক্রম চালু রাখতে পারি সেজন্য ‘মান্তাদা এইড’ এর সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি । তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আমাদের সঙ্গে কাজ করার।’

Manual5 Ad Code

Sharing is caring!

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code