প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২৫শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২৭শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে আসামি ধরতে গিয়ে দারোগার অসৌজন্যমূলক আচরণ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

editor
প্রকাশিত এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে আসামি ধরতে গিয়ে দারোগার অসৌজন্যমূলক আচরণ, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

বিয়ানীবাজারে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে আসামী আত্মগোপনে আছে-এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে অভিযানকালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের সাথে সংশ্লিষ্ট দারোগার (এস.আই) অসৌজন্যমুলক আচরণের প্রতিবাদে ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। গত সোমবার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

 

আবুল খায়ের একই ইউনিয়নের বিগত দিনের টানা দু’বারের চেয়ারম্যান। একজন মজলুম রাজনীতিক হিসেবে তিনি সর্বত্র পরিচিত। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়।

 

প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা জানান, একটি নিয়মিত মামলার আসামী সাবেক এই জনপ্রতিনিধির বাড়িতে আত্মগোপনে আছে-এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার এস.আই সৌরভ অপর একজন কনস্টেবল সাথে নিয়ে অভিযান শুরু করেন। তখন আবুল খায়ের ও তার গাড়ি চালক এভাবে বিনা অনুমতিতে কারো বাড়িতে প্রবেশের প্রতিবাদ করলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এস.আই সৌরভ। তিনি আবুল খায়েরকে ধমকানোর পাশাপাশি মারতে উদ্যোত হন। এ সময় জড়ো হওয়া উৎসুক গ্রামবাসী প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠলে এস.আই সৌরভকে বাঁচাতে নিজ বসতঘরে নিয়ে বসিয়ে রাখেন আবুল খায়ের। পরে খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছবেদ আলীসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। তারা ঘটনার বিশদ শুনে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের কাছে দু:খ প্রকাশ করেন।

 

এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা আবুল খায়ের জানিয়েছেন- সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ দলের পরিচয় নিশ্চিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এসআই সৌরভ তার সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন। একপর্যায়ে তিনি বিয়ানীবাজার থানার ওসিকে ফোন করে সত্যতা জানেন। নিরাপত্তার স্বার্থে দুই পুলিশ সদস্যকে তার কক্ষে নিরাপদে রাখেন। তিনি বলেন- ওসি গিয়ে উপস্থিত লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে সাব-ইন্সপেক্টর সৌরভ ও কনস্টেবলকে থানায় নিয়ে আসেন।

 

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ওসি আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন- সাদা পোশাকে আসামি ধরতে যাওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে আমরা গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসি।

Sharing is caring!