প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সুখবরে’ অতিষ্ঠ বিয়ানীবাজারের মানুষ

editor
প্রকাশিত মে ৩, ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
সুখবরে’ অতিষ্ঠ বিয়ানীবাজারের মানুষ

স্টাফ রিপোর্টার:

‘সুখবর, সুখবর, সুখবর’ শুনতে শুনতে এখন কান ঝালাপালা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকের উচ্চ শব্দে বাসাবাড়িতে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ক্ষোভ নিয়ে কথাগুলো বলছিলেন বিয়ানীবাজার পৌর শহরের বাসিন্দা মো. রুহুল আমিন।

শুধু রুহুল আমিন নন, কোনো নিয়মনীতি না মেনে মাইকের এমন উচ্চ শব্দের আওয়াজে অতিষ্ঠ পৌর শহরের বাসিন্দারা। সচেতন নাগরিক ও শিক্ষার্থীরা এর প্রতিকার চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, মানুষের শ্রবণের জন্য শব্দের ৪৫ ডেসিবেল হচ্ছে সহনীয় মাত্রা। তবে সেটা ৭০ ডেসিবেল অতিক্রম করলে তা ক্ষতিকর। পৌর শহরে যে হারে প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হয়, এর ফলে অনেক সময় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেলের কাছাকাছি চলে যায়। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর। স্থানীয় চিকিৎসক ডা: রাজিব গ্বোসামী (এমবিবিএস) বলেন, উচ্চ শব্দে মাইকিং চলতে থাকলে পর্যায়ক্রমে পৌরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে শ্রবণসমস্যায় ভুগতে হবে।

পৌরসভার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্য ও সেবার সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মাইকিংয়ে নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এসবের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রচারণা, কম মূল্যে লাইট বিক্রি, বিশাল গরু-মহিষ জবাই, মাছ বিক্রি, ঢাকাগামী পরিবহনের স্পেশাল সার্ভিস, নানা পণ্যের অফারসহ নানাবিধ প্রচারণা। এটা চলে দিন থেকে রাত পর্যন্ত।

বাসিন্দারা বলছেন, একটা এলাকায় প্রচারণায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি প্রচারণা শুরু হতে থাকে। মাইকিংয়ের ক্ষেত্রে হাসপাতাল, ক্লিনিক, সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজের পরিবেশের কিছুই মানা হচ্ছে না। এতে পৌরবাসীর জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।

উত্তর বাজারের মনিহারি দোকানের মালিক শামীম আহমদ বলেন, শহরে মাইকের শব্দে দোকানে বসে থাকাটাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মাইকের শব্দে মুঠোফোনে ঠিকমতো কথাও বলা যায় না।

শিক্ষার্থী রাইমা জামান বলেন, নির্দিষ্ট কোনো সময় না মেনে শহরে প্রতিদিন সুখবরের নামে উচ্চ শব্দে মাইকিং করা হয়। এতে তাঁদের পাঠদানে সমস্যা হয়। একটা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য তাঁর।

 

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, একটি নির্দিষ্ট মেনে মাইকিং করা উচিত। এতে সবাইকে সচেতন থাকা প্রয়োজন। আসলে আইন করে সচেতনতা বাড়ানো কঠিন। এটা নিজে থেকে করতে হবে।

Sharing is caring!