প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

১৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে শতবর্ষী বটগাছকে ঘিরে চলে পূজা-অর্চনা

editor
প্রকাশিত মে ৭, ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে শতবর্ষী বটগাছকে ঘিরে চলে পূজা-অর্চনা

 

স্টাফ রিপোর্টার:

 

গাছের আবার বয়স! অনেকেই হয়তো অবজ্ঞার সুরে বলবেন। তবুও কৌতুহলী মানুষ বয়স আবিষ্কার করে। বিয়ানীবাজার পৌরসভার চালিকোনায় ঠায় দাঁড়িয়ে আছে তেমনি শতবর্ষী এক বটগাছ। এটি কেবল ইতিহাসের সাক্ষী নয়, গাছটি পঞ্চখন্ডের প্রাচীণ ইতিহাসের ঐতিহ্য লালন করছে। গ্রীষ্মের দাবদাহে মানুষ এতটুকু শীতল ছায়ার আশায় এখানে জড়ো হয়।

বট গাছের অদূরে সনাতনী বেশ কয়েকটি বাড়ি। এসব বাড়ির প্রায় শতাধিক লোক ওই গাছকে ঘিরে পূজা-অর্চনা করেন। লাল কাপড়ে ঢাকা আছে বটগাছের নীচের অংশ। বিশাল ওই গাছের নীচ একদম পরিচ্ছন্ন। দিনে কয়েকদফা নীচ পরিষ্কার করেন সনাতন ধর্মীয়রা। সপ্তাহের বিশেষ দিনে তারা গাছের নীচে প্রার্থণায় মগ্ন হন।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের কসবা চালিকোনা থেকে নবাং গ্রামমুখি রাস্তার পাশে গাছটির অবস্থান। ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে প্রাকৃতিকভাবে শতবর্ষী বটগাছটি বেড়ে ওঠে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে গাছটি ঘিরে সনাতন ধর্মীয় লোকজনের মধ্যে নানা বিশ্বাস ও কৌতূহল তৈরি হয়। রোগবালাই থেকে আরোগ্য কামনা করে কেউ কেউ গাছটির নিচে মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালান। তাঁদের বিশ্বাস, গাছটির ভেতরে বড় একটি সাপ থাকে। অমাবস্যা-পূর্ণিমার রাতে বের হয়। ভোর হওয়ার আগে আবার গাছের ভেতরে ফিরে যায়। অবশ্য এসব বিষয়ে জানতে সনাতনী অনেকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা মুখ খুলতে রাজি হননি।

সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির জানান, বটগাছ একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। এর ফল খেয়ে অনেক প্রজাতির পাখিরা বেঁচে থাকে। এলাকার শতবর্ষী বৃক্ষগুলোকে চিহ্নিত করে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Sharing is caring!