প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

৯ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৪ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

বিয়ানীবাজারে সিন্ডিকেটের সন্ধান: চার মোটর সাইকেলসহ ২ জন গ্রেফতার

editor
প্রকাশিত জুন ১৮, ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে সিন্ডিকেটের সন্ধান: চার মোটর সাইকেলসহ ২ জন গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার:

বিয়ানীবাজার তথা সিলেটের মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সন্ধান পেয়েছে থানা পুলিশ। চোরাই মোটর সাইকেল প্রথমে কোথায় রাখা হয়, কিভাবে হাতবদল হয়, কারা এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছে, সদস্য সংখ্যা কতজন কিংবা কিভাবে তারা আইনী সহায়তা পায়-সব জানার চেষ্টা করছে থানা পুলিশ।

 

মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে এই সিন্ডিকেটের দু’জনকে গ্রেফতারের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সব জানার চেষ্টা চলছে বলে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ সূত্র জানায়। বুধবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক ৩টি মামলা (নং ০৮, ০৯, ১০) হলে তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রথমে পৌরশহরের খাসা শহীদ টিলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় কামরুল হাসান (২৩) নামের একজনকে। সে জকিগঞ্জ উপজেলার মুমিনপুর গ্রামের আব্দুল মুকিতের ছেলে। শহীদ টিলা এলাকায় ভাড়া থাকে সে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জগন্নাথপুর থানার রানীগঞ্জ এলাকা থেকে মোঃ আকাইদুর রহমান নামের (২৫) আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। সে একই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে। আকাইদকে জিজ্ঞাসাবাদে জগন্নাথপুর বাঘমারা এলাকার তাজপুরস্থ সেফুল মিয়ার বাড়ীর সামনের পার্কিংয়ে রাখা চুরি হওয়া তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আনোয়ার জানান, ধৃত আসামী কামরুল এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে মোটর সাইকেল চুরি করতে সম্ভব। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উজ্জামান এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ছবেদ আলী পুরো তদন্ত কার্যক্রম সমন্বয় ও পরামর্শ প্রদান করেন। আসামীদের ৫ দিন করে রিমান্ড র্প্র্থাণা করা হবে বলে জানান তিনি।

 

জানা যায়, বিয়ানীবাজারে অন্তত: ৩০-৩৫ জনের একদল ওঠতি বয়সী তরুণ মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত। তাদের একাধিক মদদদাতা রয়েছেন। গ্রেফতারবকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই সি্িডকেটের পুরো তথ্য জানা যাবে। বিয়ানীবাজারে মূলত বর্ষা মৌসুমে মোটর সাইকেল চুরি বৃদ্ধি পায়। দ্রæত এগুলো হাতবদল হয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে চলে যায়। গত ৩ মাসের ব্যবধানে এখান থেকে অন্তত: ১০টি মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। চুরির সব ঘটনায় মামলা দায়ের করতে আগ্রহী হননা ভূক্তভোগীরা।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, থানা পুলিশের সমন্বিত কার্যক্রমের সুফল এটি। আসামীদের রিমান্ডে এনে মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের পুরো তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে। আমরা ইতিমধ্যে অনেক তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা সম্ভব হচ্ছেনা।

 

Sharing is caring!