
স্টাফ রিপোর্টার:
‘ট্রমা কাটিয়ে’ সক্রিয় হয়েছে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। তারা নিয়মিত মামলা রুজুর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তদারকিও শুরু করেছে। সেবাগ্রহীতা ভুক্তভোগী মানুষের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণের পাশাপাশি আইনগত প্রতিকার দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভিকটিম উদ্ধারসহ সব ধরণের পুলিশী অভিযান অব্যাহত রেখেছে তারা।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশরাফ উজ্জামান যোগদানের পর থেকেই সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশের জনসংযোগ বৃদ্ধি করেছেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশার বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে থানা পুলিশকে একান্ত কাছে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন বিকেলে বেশ কিছু উশৃঙ্খল জনতা বিয়ানীবাজার থানায় হামলা চালায়। এ সময় তারা পুলিশের ব্যবহৃত যানবাহন, মোটরসাইকেল, জরুরি কাগজপত্রে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি অস্ত্র, গুলি, ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুট করে। পরে অবশ্য অস্ত্র, গুলিসহ কিছু জিনিসপত্র ফিরে পায় পুলিশ। এমন ঘটনার পর ভেঙে পড়ে পুলিশের মনোবল। অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া এই বাহিনী বিয়ানীবাজারে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এতে ভোগান্তি কমছে ভুক্তভোগী মানুষের। সাধারণ মানুষের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হচ্ছে।
তবে পুলিশ সদস্যরা বলছেন, বিয়ানীবাজারে নতুন অনেক কর্মকর্তা যোগদান করেছেন। তারা পুরো থানা এলাকার অনেক জায়গা চিনতে পারছেননা। নতুন যোগদান করা কর্মকর্তারা নতুন সোর্স এখনো তৈরি করতে পারেনি। ফলে সোর্স নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে। শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। তারা জানান, নতুন কর্মস্থলে অচেনা অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা কঠিন হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ছমেদ আলী জানান, নতুন অফিসার ইনচার্জ যোগদানের পর বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ পুরো সক্রিয় হয়ে কাজ করছে। মামলা রেকর্ড, তদন্ত, আসামী গ্রেফতারসহ ভূক্তভোগী মানুষকে সেবা দিতে তৎপর রয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আশরাফ উজ্জামান বলেন, রাতেও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। আমাদের টহল দলগুলো একদম গ্রাম পর্যায়ে গিয়ে মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি নিজেও টহলে বের হয়ে মানুষকে পুলিশের উপস্থিতি জানান দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
প্রায় একই চিত্র ট্রাফিক পুলিশেও। পৌরশহরের যানজট নিরসনে তারা নিরলস কাজ করছেন।
Sharing is caring!