প্রকাশনার ১৫ বছর

রেজি নং: চ/৫৭৫

২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ানীবাজারে মাতৃগর্ভে এত শিশুর মৃত্যুর কারণ অজানা

editor
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ০১:৪৫ অপরাহ্ণ
বিয়ানীবাজারে মাতৃগর্ভে এত শিশুর মৃত্যুর কারণ অজানা

 

স্টাফ রিপোর্টার:

আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার যুগেও আশঙ্কাজনক হারে বিয়ানীবাজার উপজেলায় বাড়ছে মাতৃগর্ভে শিশু মৃত্যু। সামাজিক কুসংস্কার, অপুষ্টি, অসচেতনতা, অবৈধ শারীরিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন কারণে মায়ের গর্ভেই মারা যাচ্ছে অসংখ্য শিশু।

সিলেট জেলায় মাতৃগর্ভে শিশু মৃত্যুর হার অনুযায়ী সবার ওপরে রয়েছে বিয়ানীবাজার উপজেলা। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কানাইঘাট। হাসপাতাল ছাড়াও বাসা-বাড়িতেও এমন ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। উন্নত অবকাঠামো ব্যবস্থা থাকার পরও বিয়ানীবাজার উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে শিশু মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৮৬ জন, ২০২৩ সালে ৩৭ জন এবং ২০২৪ সালে ২৭ জন শিশুর মাতৃগর্ভে মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও বাসা-বাড়িতে গর্ভে সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এসব মৃত্যুর তথ্য সরকারের হিসাবের বাইরে রয়েছে।

 

সূত্র জানায়, গত তিন বছরে বিয়ানীবাজার উপজেলায় ১৫০ জন শিশুর মাতৃগর্ভে মৃত্যু হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজতর হওয়া সত্ত্বেও বিয়ানীবাজারে এতো মৃত্যুর কারণ জানা নেই কারো।

সংশ্লিষ্টরা মৃত্যুর পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুললে চিকিৎসকরা বলেন, অন্যান্য উপজেলার মতো বিয়ানীবাজারেও মৃত্যু কমছে। কিন্তু মায়ের অসচেতনতা-পুষ্টিহীনতা ও চিকিৎসক সংকটের কারণে অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদ বলেন, মায়েদের পুষ্টিহীনতা ও অসচেতনতার কারণে অনেক সময় গর্ভে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এসব শিশু মৃত্যু রোধে গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করা হয়। কিন্তু মায়েদের মধ্যে সচেতনতা তুলনামূলকভাবে বাড়ানো যাচ্ছে না। এখনও অনেক কুসংস্কার সমাজে রয়েছে। যেসব কারণে মাতৃগর্ভে শিশু মৃত্যু হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, শুধু মায়েদের অসচেতনতা বা পুষ্টিহীনতা নয়, চিকিৎসকের অভাবেও অনেক মৃত্যু ঘটছে। আমরা চেষ্টা করছি জনবলের সংকট কমাতে। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় মাঠ পর্যায়ে অনেকে সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। এর বাইরে অজানা কারণে অন্তত ২০-৩০ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে।

Sharing is caring!